প্রবাস

প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম

সঠিক পরিকল্পনা আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে জীবনে সফলতা আসবেই। প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্নবান এই তরুণ নিজেকে আবিষ্কারে ঝাঁপিয়ে পড়েন নব উদ্যমে। প্রিয় পাঠক, আজ একজন সফল ব্যবসায়ীর গল্প শোনাবো।

Advertisement

শাহজাহান মিল্টন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পাড়ি জমান ২০০০ সালে। কর্মক্ষেত্রের শুরুটা ছিল ‘কিচেনে ডিস ওয়াসিং’ দিয়ে। পরে সালাত তৈরি এবং শেফের অধীনে সহযোগী। একটা সময় তিনি নিজেই শেফের দায়িত্ব বুঝে নেন। বছর ঘুরতেই হেড কুক হিসাবে কাজ শুরু।

বিদেশের মাটিতে অল্প সময়ে সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে জাগো নিউজকে মিল্টন বলেন, ধৈর্য্য এবং সততার সঙ্গে সব সময় কাজ করেছি। আল্লাহ প্রতিদান স্বরূপ সফলতার সিঁড়ি দিয়েছে। বড় বিষয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসম্মত ও সাশ্রয়ী খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছি। ভালো খাবার পরিবেশন করলে তার ফল আল্লাহ দেয়।

তিনি বলেন, সিডনির কিংক্রসে ‘ক্রস এক্স চিকেন’ জানুয়ারি থেকে ও ‘বাংলা ভিলেজ’ রেস্টুরেন্ট গতমাসে চালু করেছি। দেশের গ্রামের চিত্র মনে করেই নামকরণ করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের। দীর্ঘ সময় বিদেশি কালচারাল ফুড পরিবেশনার পর এখন ফিরে এসেছি-দেশীয় স্বাদ ও ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে আপনারটার ভিন্নতা কী জানতে চাইলে মিল্টন বলেন, সময়, সেবা, খাবার ব্যবস্থাপনা, খাবার প্রক্রিয়াকরণ ও হাইজেনিক ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্যই অন্যান্য রেস্টুরেন্ট থেকে আমাদেরটা আলাদা। সর্বদা চেষ্টা করি সঠিক মান বজায় রেখে খাবার পরিবেশন করতে।

Advertisement

করোনাকালে অনেকে ব্যবসায় মুখ থুবড়ে পড়লেও; মিল্টন এখনো এই প্রতিযোগিতায় টিকে রয়েছে। দীর্ঘ বছরের প্রচেষ্টায় মিল্টন সিডনির বুকে বাঙালিদের মধ্যে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত।

তারুণ্যের শক্তি, সততার সাহস আর পরিশ্রমের ফলে ব্যবসায় সাফল্য বয়ে আনার প্রচেষ্টায় আজকের ‘বাংলা ভিলেজ’। তিনি আশা করছেন, গ্রাহকের মন জয় করে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবেন এবং তার রেস্তোরাঁও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

দুই বছর পর প্যারাডিসো রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড রিসিপশন এবং উলুমুলু বে হোটেলে কার্যনির্বাহী শেফ হিসাবে কাজ করেন। স্টুরবারি হিলস হোটেলে প্রধান শেফ থাকা অবস্থায় সুযোগ পান রয়েল এক্সিভিশন হোটেল কিচেন অপারেটর হিসাবে।

এছাড়াও প্যারামাঠার কমার্শিয়াল হোটেল, রেডফানে টুডোর হল হোটেল, ব্রন্টি বিচে ব্রন্টি বার অ্যান্ড গ্রিল এবং কোগরাতে আমিচি ডি ইতালিয়ান রেস্টুরেন্ট সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন।

Advertisement

এমআরএম/জিকেএস