বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে প্রবেশেই দেখা যায় ছোট্ট এক প্যাভিলিয়ন। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।
Advertisement
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম স্থান পেয়েছে ছবি, চিঠি কিংবা তার ব্যবহার্য জিনিসপত্রে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘আমার বঙ্গবন্ধু’।
রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিকেলে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় আমার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন।
এরপরই প্যাভিলিয়নে ছবি-সেলফি তোলার হিড়িক পড় যায়। হেডফোনে দর্শনার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে দেখা যায়।
Advertisement
অনেকেই আবার বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ছবিগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। আমার বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নে প্রথমেই রাখা হয়েছে জাতির জনক নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বই।
ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু অংশে রাখা হয়েছে জাতির জনকের পারিবারিক ছবি। স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে শেখ মুজিব, তার ছেলেবেলার নয়টি ছবি স্থান পেয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ ছাড়াও ১৯৭৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে জাতির জনকের প্রথম বাংলা ভাষণ টিভিতে দেখা ও হেডফোনে শোনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক জীবন অংশে বিভিন্ন বিশ্ব নেতাদের ৩০টির বেশি ছবি স্থান পেয়েছে। শেখ হাসিনা ও বিশ্বনেতাদের লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠিও ছিল দর্শনার্থীরা জন্য।
Advertisement
আর জেল খানার আদলে তৈরি বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন অংশে জাতির জনকের কারাবাস ও মুক্তি সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ছবি স্থান পেয়েছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জন্য আমার বঙ্গবন্ধু কর্নার তৈরি করেছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্টুডিও অ্যাশ।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবাইরা বলেন, এখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্পূর্ণ জীবন আমরা ধারণ করার চেষ্টা করেছ। প্যাভিলিয়নের নাম রেখেছি আমার বঙ্গবন্ধু। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের নিজেদের লোক।
তিনি আরও বলেন, ভেতরে বেশ কয়েকটি কর্নার করার চেষ্টা করেছি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্ম সম্পর্কিত বই ও ছবি স্থান পেয়েছে।
এসএম/আরএডি/এএএইচ