দেশজুড়ে

বিদায়ী বছরে নারায়ণগঞ্জে দুই নৌদুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ২০ জনের

বিদায়ী বছরে আলোচনায় ছিল নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার দুটি নৌদুর্ঘটনা। এতে ২০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছিল বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পাড়।

Advertisement

বিদায়ী বছরের ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ধর্মগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ, রেকমত আলীর ছেলে মোতালেব, চর বক্তাবলী এলাকার রাজুর ছেলে সাব্বির, মধ্য চরের সোহেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, সোহেলের ছেলে তামীম খান, মেয়ে তাফসিয়া, তাসমিম ওরফে তাসলিমা, আওলাদ, মো. শামসুদ্দিন ও জোসনা বেগম।

পরে এই ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ ড্রাইভার মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছিল।

Advertisement

এছাড়া বিদায়ী বছরের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় রূপসী-৯ নামে কার্গোর ধাক্কায় এম এস আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় কার্গোটি ওই লঞ্চটিতে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে ওই লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।

এ ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, মুন্সিগঞ্জের মুসলেহ উদ্দিন হাতেম (৫০), ডেমরার আব্দুল্লাহ আল জাবের, সোনারগাঁও হরিয়ান প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে খাইরুন ফাতিমা (৪০), মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূঁইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত হোসেন, গজারিয়া উপজেলার ইস্পাহানিচর স্মৃতি রাণী বর্মণ ও তার বোন আরোহী, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের আজিজের মেয়ে সালমা (৩৩), একই এলাকার ইউনুস খলিফার মেয়ে ফাতেমা (৭)।

আর এই লঞ্চডুবির ঘটনায়ও বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করা হয় নৌ-আদালতে। আরেকটি হয় বন্দর থানায়। মামলায় আসামি করা হয়েছিল কার্গোর প্রথম শ্রেণির মাস্টার রমজান আলী, দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার নুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম ও মো. নাদিম হোসেন, লস্কর সুমন হোসেন ও ইয়াছিন মিয়া, গ্রিজার রিয়াদ হোসেন ও সুকানি জাহিদুল ইসলাম।

মামলাগুলোর বর্তমান বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে বাবু লাল বৈদ্য জাগো নিউজকে বলেন, মামলাগুলো বর্তমানে মেরিন আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে বিচার কার্যক্রম চলমান। আমাদের ডাকলে আমরা আদালতে গিয়ে হাজির হই।

Advertisement

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমআরআর/জিকেএস