খেলাধুলা

বাদ পড়লেন দুর্জয়, স্বপদে ফিরলেন আকরাম

বিসিবির সাব কমিটিগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আগেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক আকরাম খান। মাঝে তাকে সরিয়ে দিয়ে এই কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রথম অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুজয়কে। আকরাম খানকে নিয়ে যাওয়া হয় টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে।অবশেষে স্বপদে ফিরে আসলেন আকরাম খান। আবারও তাকে করা হয়েছে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। সোমবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্ধারিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রদবদল এসেছে বিসিবির নির্বাহী কমিটিতে। অপারেশন্স কমিটি ছাড়াও লজিস্টিক কমিটিতে ইসমাইল হায়দার মল্লিকের জায়গায় চেয়ারম্যান হয়েছেন শেখ সোহেল।স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পরিবর্তনের বিষয়ে পাপন বলেন, ‌`আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো ছিলো। আপনারা জানেন আমরা ৩-৪ মাস পর পর পরিবর্তন করি। এবারও একটা পরিবর্তন করা হয়েছে। দূর্জয়ের পরিবর্তে আকরাম খান। এর মধ্যে নতুন দু`জন ডুকেছে। যারা আগে ছিলো না।`কমিটিতে সুযোগ দেয়ার জন্য যোগ্যতা দেখা হয়, নাকি কেবল সবাইকে সুযোগ দেয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ? জানতে চাইলে পাপন বলেন, ‌ `সুযোগ না দিলে তো বোঝা যাবে না। যোগ্য হলে তো কথাই নেই। সবাই ঘুরে ফিরে দায়িত্ব পাবেন। নির্দিষ্ট করে কেউ থাকছে না। যেমন জালাল ভাই। মিডিয়াতে আগামীতে তিনি নাও থাকতে পারেন। উনাকে হয়তো অন্য দায়িত্ব দেয়া হবে। মিডিয়াতে অন্য কেউ আসবে। সেটা না হলে তো প্রতিযোগিতা হবে না।`ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটিতে আকরাম খানকে আনা হয়েছে। তিনি কি বেশি যোগ্য? জানতে চাইলে পাপন বলেন, `সে রকম ব্যাপার না। আমরা এটা নিয়ে ভাবি যে, এখানে (ক্রিকেট অপারেশন্স) একজন খেলোয়াড় থাকাই ভালো। এখানে দুর্জয় আসতে পারতো। আকরাম বা সুজনও আসতে পারতো। দুর্জয় একজন সংসদ সদস্য। সে আমার সঙ্গেই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে।`এছাড়া দু`জন নতুন নির্বাচক নিয়োগ দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদের পোস্ট হবে জুনিয়র নির্বাচক। এর কারণ হিসেবে পাপন জানান, যে তিন নির্বাচক রয়েছেন তাদের পক্ষে সারা দেশ ভ্রমণ করে সব খেলা দেখে প্রতিভা বের করে আনা সম্ভব নয়। ফলে তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য নতুন দুই কোচ নিয়োগ দেয়া হবে।এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‌` আমাদের বয়সভিত্তিক খেলাগুলো সারা বাংলাদেশে হয়। ওখানে আমাদের নির্বাচকদের গিয়ে কভার করা সম্ভব হয় না। দুই জনের পক্ষে খুব কঠিন। এজন্য আমরা আরও দুইজন জুনিয়র নির্বাচক নিয়োগ দিয়েছি।`আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement