বিশেষ প্রতিবেদন

প্রস্তাবিত বার্ন ইনস্টিটিউট নির্মাণ করবে সেনাবাহিনী!

পাঁচ শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর চাঁনখারপুলে প্রস্তাবিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বহুতল ভবন নির্মাণ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পোড়া রোগীদের সুচিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রশিক্ষিত বার্ন চিকিৎসক গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুব শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুসারে নির্মিতব্য অত্যাধুনিক ১২তলা ভবনটি সেনাবাহিনীর সুদক্ষ কর্মীবাহিনীর মাধ্যমে নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যেই সেনাপ্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে চিঠির উত্তর না আসলেও ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলে আশা করছেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে কর্মকর্তাদের কেউ এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।  নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এ সম্পর্কিত নিশ্চিত তথ্য জানা গেছে।  সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, চাঁনখারপুলে যক্ষ্মা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পুরোনো ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম অত্যাধুনিক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাধারণত অবকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত প্রায় সকল প্রকার কার্যক্রম স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কিংবা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে করালেও সরকারের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ইচ্ছানুসারে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ন্যাশনাল বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রচলিত প্রতিষ্ঠানটগুলোর মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হলে প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৭ সালের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব নাও হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকেই সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।এ ব্যাপারে জানতে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান ও বার্ন বিশেষজ্ঞ ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সেনাবাহিনীকে ভবন নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে দুজনেই স্বীকার করেছেন।এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement