আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বৃহৎ চ্যালেঞ্জ নিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
Advertisement
নতুন বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে চলতি বছর পাচঁটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন পরিচালনাকারী এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিকে। ফলে কমিশনের পক্ষ থেকেও নতুন বছরটি ‘হেভি ইয়ার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রোববার (১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে, এ বছরের শেষে বা আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে কাজের সময়ের সঙ্গে হাঁটলে আর আমাদের হবে না, আমাদের দৌঁড়াতে হবে। আমরা প্রতিদিনই অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করি। এছাড়া ভোটের প্রশিক্ষণ চলছে, চলবে।
ভোটার তালিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এজন্য আইনি বাধ্যবাধকতা আছে।
Advertisement
ভোটকেন্দ্রের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা পুর্নির্নিধারণ হলে আগস্টের মধ্যে ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হবে। তবে চূড়ান্ত করতে হয়তো নভেম্বর পর্যন্ত লেগে যাবে।
নতুন দলের নিবন্ধন বিষয়ে আনিছুর রহমান বলেন, নতুন দলের নিবন্ধনের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। অনেক অনেক কাগজ তারা দিয়েছিলেন। সেগুলো বাছাই করা হয়েছে। নতুন দল নিবন্ধন প্রক্রিয়াও জুনের মধ্যে করে ফেলবো বলে আশা করি।
ইভিএমের নতুন প্রকল্পের বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমের নতুন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আছে। সরকার থেকে ১৩ জন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। এখন ১৩ জন জনবল দিয়ে কিন্তু চালানো যাবে না। অর্থ বিভাগকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছি। যাই হোক, ইভিএম প্রকল্প দ্রুত পাস হওয়া উচিত। যদি ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্প পাস না হয় এবং তারপরে অনুমোদন হলে আমাদের জন্য খুবই ডিফিকাল্ট হবে। কেননা, এলসি হবে বিদেশ থেকে মালামাল আসবে। এসব নানা কর্মযজ্ঞ রয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুত ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে আমরা আমাদের সাধ্য আছে ততটুকু করবো। বাকি আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করবো। তবে রোডম্যাপে আমরা পিছিয়ে নেই। সবকিছু সময় অনুযায়ী হচ্ছে।
Advertisement
এইচএস/এমকেআর/জেআইএম