মাদারীপুরে ইজিবাইকের গতিরোধ করে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় ওই কিশোরীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরইমধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
Advertisement
বছরের প্রথমদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করার কথা থাকলেও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী। তার চোখেমুখে এখন শুধুই ভয়।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ভালো ফলাফল করায় শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে মিষ্টি নিয়ে ইজিবাইকে করে নিজবাড়ি থেকে রাজৈরের শাখারপাড় নানাবাড়িতে যাচ্ছিল ওই কিশোরী। মাঝপথে অপর একটি ইজিবাইকে এসে রাব্বি ও হাসান নামে দুই তরুণ স্কুলছাত্রীর ইজিবাইকের গতিরোধ করেন। পরে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুরের একটি নির্জন স্থানে। এরপর রাব্বি ও হাসান পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ওই ছাত্রীকে।
এতে করে গুরুতর অসুস্থ হলে পড়লে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর স্বজনরা এক ভ্যানচালকের সহযোগিতায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাব্বি ও হাসান পলাতক আছেন।
Advertisement
নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর মা বলেন, আমার স্বামী ঘটনা শোনার পর হার্ট অ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একসঙ্গে দুটি ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজা বলেন, মেয়েটির অবস্থা গুরুতর। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। এখনো চিকিৎসা চলছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আলাউল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে মেয়েটির চিকিৎসা দরকার। শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা রেকর্ড করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
এমআরআর/জেআইএম