অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিইটিএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মেলা উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। উপস্থিত আছেন- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রফতানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত আছেন।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের প্রতি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্যোগ ও রফতানি বাড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

স্থায়ী ভেন্যুতে দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার প্রধান ফটক করা হয়েছে মেট্রোরেলের আদলে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে।

Advertisement

মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে মিলে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

ইপিবি সূত্র জানিয়েছে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সাল থেকে যৌথ উদ্যোগে মেলার আয়োজন করেছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে। তবে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় বাণিজ্যমেলা। সেবার বাণিজ্য মেলায় শিশুপার্ক ছিল না। এবার মিনি শিশুপার্ক থাকছে। ফুডকোর্ট নিচে চলে গেছে। এবারের আসরে আগের তুলনায় মেলায় স্টলের সংখ্যা বেড়েছে।

এবারের মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলায় ১৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় দেশ-বিদেশের মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি।

Advertisement

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বাণিজ্যমেলা। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। এবারে মেলার প্রবেশ মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য ২০ টাকা। অনলাইনে ৫০ শতাংশ ডিসকাইন্টে মেলার টিকিট কেনা যাবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো এ মেলা বসছে পূর্বাচলে। এর আগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড মহামারির কারণে এক বছর (২০২১ সালে) মেলা হয়নি।

২০২২ সালে প্রথমবারের মতো পূর্বাচলের এ স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা আয়োজন করা হয়। একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

মেলায় যাতায়াত সুবিধার জন্য গতবারের মতো এবারো শাটল বাস সার্ভিস রয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এর সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলাকালীন এসব বাস চলাচল করবে।

কেএসআর/জেআইএম