আন্তর্জাতিক

সিনেমা হলে দর্শক ফিরবে, গ্রাহক হারাবে ওটিটি

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ভীতি কমে যাওয়ায় ২০২৩ সালে সিনেমা হলে ফিরবেন আরও বেশি দর্শক। ঘরে বসে টেলিভিশন দেখার বদলে হলের বড় পর্দায় বিনোদন খুঁজবেন তারা। ফলে ঝড় উঠবে বক্সঅফিসেও। তাতে মহামারির আগের মতোই জমজমাট হয়ে উঠবে সিনেমা ব্যবসা, চাঙ্গা হয়ে উঠবে ঋণগ্রস্ত্র খাতটি।

Advertisement

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, মাসিক খরচ বাড়িয়ে দেওয়ায় ২০২৩ সালে গ্রাহক হারাতে পারে ওটিটি (ওভার দ্য টপ) স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলো। তবুও চিত্তাকর্ষক কনটেন্টের চাহিদা মেটাতে বিপুল অর্থ খরচ করবে তারা।

বিশ্বের বৃহত্তম স্ট্রিমিং কোম্পানি নেটফ্লিক্স ২০২৩ সালে কনটেন্টের পেছনে ১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে। কিন্তু বিপুল ঘাটতি মেটাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আরও বেশি অর্থ সংগ্রহকে অগ্রাধিকার দেবে তারা। ওয়ার্নার ব্রাদার্স নতুন বছরে ডিসকভারি প্লাস ও এইচবিও ম্যাক্সকে একীভূত করে নতুন স্ট্রিমিং সেবা চালু করবে।

এ বছর স্ট্রিমিং সেবায় যুক্ত হবে খেলাধুলার মতো ঐতিহ্যবাদী টিভি কনটেন্টও। এ দৌড়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে অ্যামাজনের প্রাইম ভিডিও। ২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে অ্যাপল টিভি প্লাস। এরই মধ্যে এ বিষয়ে ২৫০ কোটি ডলারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তারা।

Advertisement

এখন পর্যন্ত খেলাধুলা সম্প্রচারের প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়নি নেটফ্লিক্স। ২০২২ সালের নভেম্বরে কয়েকটি দেশে একটি কম খরুচে বিজ্ঞাপন-সমর্থিত সেবা চালু করেছে তারা। এটির হাত ধরে মিতব্যয়ী দর্শকদের প্রলুব্ধ করা এবং গ্রাহক বৃদ্ধি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আশা করবে নেটফ্লিক্স। এছাড়া পাসওয়ার্ড শেয়ারিং বন্ধ করে গ্রাহক বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে নতুন বছরে বক্স অফিসের আয় আরও বাড়বে। ডেডলাইনের ধারণা, ২০২৩ সালে হলিউডের ডমেস্টিক বক্স অফিস আয় ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে।

২০২২ সালে হলিউডের ডমেস্টিক বক্স অফিস আয় ছিল মোট ৭৪০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের (৪৩০ কোটি ডলার) তুলনায় ৭২ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে তাদের ডমেস্টিক বক্স অফিস আয় আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সেটি ২০১৯ সালের ১ হাজার ১৩০ কোটি ডলারের তুলনায় বেশ কম।

এরপরও আশাবাদী হওয়ার মতো একটি বিষয় রয়েছে। ২০২৩ সালে হলিউডে অন্তত ৩৩টি সিনেমা ডমেস্টিক বক্স অফিসে ১০ কোটি ডলারের বেশি আয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল ২৯টি, ২০২১ সালে ১৩ এবং ২০২২ সালে ছিল ১৮টি।

Advertisement

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট, ডেডলাইন

কেএএ/এমএস