জাতীয়

বৈদ্যুতিক তারে পড়েছে জ্বলন্ত ফানুস, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ

গতরাতে ওড়ানো অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়েছে। দুর্ঘটনা রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ফানুস অপসারণের কাজ চলছে।

Advertisement

রোববার (১ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় মেট্রোরেলের ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফানুস অপসারণ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন > নিয়ম ভেঙে আতশবাজি-ফানুসে নতুন বছর উদযাপন

Advertisement

ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, গতরাতে ওড়ানো অনেক ফানুস মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে এসে পড়েছে। দুর্ঘটনা রোধে মেট্রোরেল চলাচল দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ফানুস অপসারণের কাজ চলছে।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কবে বিবেক জাগ্রত হবে জানি না। ফানুস ওড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও আমরা নিয়ম ভেঙে রাতে ফানুস ওড়ালাম এবং আতশবাজি ফাটালাম। ফানুসের ফলে মেট্রোরেলের বৈদ্যতিক তারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।’

ইংরেজি নতুন বছর বরণ করতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আরও পড়ুন > ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফানুস ওড়ানো-আতশবাজি ফোটানো যাবে না’

Advertisement

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, থার্টি ফার্স্ট উপলক্ষে কোনো আতশবাজি, পটকা কিংবা ফানুস ওড়ানো যাবে না।

ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের আয়োজন করার সুযোগ ছিল না। কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছিল মানুষের বাসাবাড়ির ছাদকেও। কিন্তু তাতে থামিয়ে রাখা যায়নি উদযাপনকে। আতশবাজি আর ফানুসে ভরপুর ছিল ঢাকার আকাশ।

রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ প্রায় অধিকাংশ ভবনের ছাদেই ছিল আতশবাজি আর ফানুস ওড়ানোর আয়োজন। অনেকে আবার ছাদে বারবিকিউ পার্টিসহ পারিবারিক নানা আয়োজন করেছে। রোববার (১ জানুয়ারি) প্রথম প্রহরেই রাজধানীর প্রায় সব এলাকায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়াতে দেখা গেছে।

এমওএস/বিএ/এমএস