ইউরোপের অভিবাসন সাম্রাজ্য খ্যাত পর্তুগালে দিন দিন বেড়েই চলেছে প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা। ২০২২ সালে নতুন করে দেশটিতে বসবাসের অনুমতি (রেসিডেন্স কার্ড) পেয়েছেন চার হাজার ২৪৩ জন বাংলাদেশি। পর্তুগালে বসবাস করা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি গেলো বছর বাংলাদেশিরা নতুন করে রেসিডেন্স প্রাপ্তির পঞ্চমস্থানে অবস্থান করছে।
Advertisement
বছরের শেষ দিন অর্থাৎ গতকাল পর্তুগালের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ (এসইএফ) তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিবাসন সংক্রান্ত এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিবাসীদের নতুন করে রেসিডেন্স প্রাপ্তির অবস্থান চতুর্থে।
২০২২ সালে পর্তুগালের রেসিডেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০ জন। এর মধ্যে বরাবরের মতো ১ম অবস্থানে ব্রাজিল ৩৭,৮৮০ জন, ২য় অবস্থানে ইতালি ৫৯০৩ জন, তৃতীয়ে আফ্রিকান দেয় আঙ্গোলা ৫৬৫২ জন, ষষ্ঠে ফ্রান্স ৩৯৬৩ জন, ৭তম কাবো ভেরদে ৩৮৯৪ জন, জার্মানি ৩৩৩১ জন, গিনি ভিসাও ৩১৪৫ জন, পাকিস্তানি অভিবাসীরা রেসিডেন্স প্রাপ্ত হয়েছেন ৩০১৭ জন।
দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, নতুন করে রেসিডেন্স প্রাপ্ত হয়ে পর্তুগালে বসবাস করা অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৭ হাজার জনে। এর মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটিতে বসবাস করা প্রধান প্রধান দেশগুলোর অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে।
Advertisement
পর্তুগালে বর্তমানে ব্রাজিলের অভিবাসীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৮ জন, যুক্তরাজ্যের ৩৬ হাজার ৬৩৯ জন, কাবো ভেরদের ৩৫ হাজার ৭৪৪ জন, ভারতের ৩৪ হাজার ২৩২ জন, ইতালির ৩৩ হাজার ৭০৭ জন, আঙ্গোলার ৩০ হাজার ৪১৭ জন, ফ্রান্সের ২৭ হাজার ৬১৪ জন, ইউক্রেনের ২৬ হাজার ৮৯৮ জন, রোমানিয়ার ২৩ হাজার ৯৬৭ জন ও নেপালের ২৩ হাজার ৪৪১ জন অভিবাসী বসবাস করছেন।
বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা ৩০ হাজরেরও বেশি। এর মধ্যে ২০ হাজার (রেসিডেন্স প্রাপ্ত), রেসিডেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষমান রয়েছেন ১০ হাজরেরও বেশি বাংলাদেশি। বাংলাদেশিরা রেসিডেন্স প্রাপ্ত হলে পর্তুগালে বসবাস করা প্রধান প্রধান কমিউনিটির অন্যতম একটিতে রূপ নেবে বাংলাদেশি কমিউনিটি।
এমআরএম/এমএস
Advertisement