রাজধানীর মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মাঠে ‘সেভ আর্থ সেভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনী চলছে। পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’।
Advertisement
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
প্রদর্শনীতে সচেতনতা বাড়াতে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মানুষের মগজ। প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ছে, তা বোঝাতে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাছ, যাতে কোনো পাতা নেই। একইভাবে বড় আকৃতির মাছ, কচ্ছপ, প্রদর্শনীর ফটক ও মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে।
প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই টিঅ্যান্ডটি মাঠে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। তারা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রতিকৃতি দেখছেন এবং ছবি তুলছেন।
Advertisement
আয়োজক সংগঠন বিডি ক্লিন জানায়, দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিত্যক্ত অর্ধকোটি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা নানা প্রতিকৃতি প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। ব্যতিক্রমী এ প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ হয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে শুক্রবার ১০ লাখ টাকার অনুদান দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানিগুলো প্লাস্টিকের বোতলে কোমল পানীয় বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে, তা হতে পারে না। প্লাস্টিক দূষণরোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। জনগণকেও যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ফেলা বন্ধ করতে হবে।
ব্যতিক্রমী এ প্রদর্শনীর প্রশংসা করে মেয়র আতিক বলেন, সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজনেই জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, মাছ, বৃক্ষ সবই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা নির্দয় হয়ে এসব সৃষ্টিকে ধ্বংস করছি। যারা ধ্বংস করছে, তারা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিন্তা করে না।
দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারে না বলেওি মন্তব্য করেন আতিকুল ইসলাম।
Advertisement
বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল, সুস্থ ও উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন জাতি গঠনই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য। মানসিক পরিবর্তন নিশ্চিত হলেই দেশ পরিচ্ছন্ন হবে, উন্নত হবে।
এ লক্ষ্যে সারাদেশে বিডি ক্লিনের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য কাজ করছেন বলেও জানান সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা।
এমএমএ/এএএইচ/জিকেএস