ইরানে হামলার জন্য প্রস্তুতি আরও উন্নত করেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) তাদের বিদায়ী প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বলেছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গের।
Advertisement
এয়ার ফোর্স গ্র্যাজুয়েশন সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে গান্টজ বলেন, ইসরায়েলি পাইলটদের একদিন সত্যি সত্যি এ ধরনের হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য ডাক পড়তে পারে।
তিনি বলেন, আগামী দুই বা তিন বছরের মধ্যে আপনারা হয়তো পূর্ব দিকের আকাশসীমা অতিক্রম করে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলায় অংশ নিতে পারেন। আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।
ইসরায়েলের ভয়, ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানি সমরাস্ত্রের ওপর ক্রমেই নির্ভরতা বাড়ছে রাশিয়ার। এর সুযোগ নিয়ে তেহরান হয়তো পারমাণবিক কর্মসূচিতে ফিরতে মস্কোর সাহায্য চাইতে পারে।
Advertisement
অঘোষিতভাবে পারমাণবিক অস্ত্রধর ইসরায়েল কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হবে। দখলদাররা হুমকিও দিয়েছে, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী হয়ে ওঠা ঠেকাতে তারা যেকোনো কিছু করতে পারে।
২০০৭ সালে সিরিয়ার একটি অসমাপ্ত পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংস করে দিয়েছিল ইসরায়েল। সাদ্দাম হোসেনের আমলে ইরাকেও বেশ জোরালো পারমাণবিক কর্মসূচি চলছিল। কিন্তু ১৯৮১ সালে বিমান হামলা চালিয়ে ওসিরাক গবেষণা চুল্লি ধ্বংস করে ইরাকের সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা মাটিতে মিশিয়ে দেয় পশ্চিমা মদতপুষ্ট ইসরায়েলিরা।
গত মাসে ইসরায়েলের নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার তার নেতৃত্বে নতুন সরকার ইসরায়েলি পার্লামেন্টে অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক চিফ অব জেনারেল স্টাফ গান্টজ সম্ভবত বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে পার্লামেন্টে থাকবেন।
কেএএ/
Advertisement