রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুব মোর্শেদ শামীমের পক্ষে তার লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এবার ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন শাহাদৎ হোসেন। শামীম গত মেয়াদে কাউন্সিলর ছিলেন।
এদিকে নির্বাচন পরবর্তী নানা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী বাহলুল ইসলাম জেপলিনের সমর্থকরা।
Advertisement
এর আগে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাজাদা আরমান সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানান। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ রাজ্জাক মণ্ডলকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তিনি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়াও ভোটের দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিবির গাড়িতে আগুন লাগানোসহ এখন পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী একরামুল হকের পক্ষে তার লোকজন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।
সদ্য শেষ হওয়া রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ দায়েরে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কেউ এ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
Advertisement
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, রংপুর সদর সিনিয়র জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজকে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল।
আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সেখানে সুবিচার না পেয়ে থাকলে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে। আপিল ট্রাইব্যুনাল সে অভিযোগ নিষ্পত্তি করবেন পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এদের মধ্যে যে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।
জিতু কবীর/আরএইচ/জেআইএম