লাইফস্টাইল

জিহ্বা পরিষ্কার করলেই দূর হবে শরীরের সব বিষাক্ত পদার্থ

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আপনি দৈনিক কী করেন? নিশ্চয়ই আপনার উত্তর হবে, দাঁত ব্রাশ করি কিংবা মাউথওয়াশ ব্যবহার করি নিয়মিত!

Advertisement

তবে এক অভ্যাসের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন না। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলেই কিন্তু মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। নিয়মিত দাঁতের পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার করাও গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে ভারতের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডা. নিতিকা কোহলি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘সকালে দাঁত ব্রাশ করার পর একটি রূপালি বা তামার ইউ-আকৃতির টাং স্ক্র্যাপার দিয়ে জিহ্বা স্ক্র্যাপ করার মাধ্যমে পুরো স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন।

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কার করলে শরীরের সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। শুধু তা-ই নয়, এটি মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সহায়তা করে।

Advertisement

এ বিষয়ে ভারতের কর্ম আয়ুর্বেদের প্রতিষ্ঠাতা ডা. পুনীতের মত, জিহ্বা পরিষ্কার করার মাধ্যমে মৌখিক, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

এক্ষেত্রে মুখ থেকে ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যায় ফলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গও সুস্থ থাকে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়, হজমশক্তি বাড়ে।

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, আয়ুর্বেদে জিহ্বা ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি অর্থপূর্ণ সংযোগ বর্ণনা করে। জিহ্বার রং বদলে যাওয়া শারীরিক বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়।

কারণ জিহ্বার সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের সম্পর্ক আছে। জিহ্বা উপকারী ও ক্ষতিকারক উভয় ব্যাকটেরিয়াকে আশ্রয় দেয়। ব্যাকটেরিয়া ও খাদ্য কণা প্যাপিলির মধ্যে জমা হতে থাকে।

Advertisement

যদি এই কণাগুলোকে সময়মতো পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে সেগুলো একটি শ্লেষ্মা আস্তরণে ঢেকে যায়, যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের দিকে পরিচালিত করে। তাই জিহ্বা পরিষ্কার করা স্বাস্থ্যবিধির একটি অত্যাবশ্যক অংশ বলে জানান ডা. পুনীত।

জিহ্বা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে যা করবেন

১. একটি পরিষ্কার টাং স্ক্র্যাপার দিয়ে আপনার জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে।২. দিনে দু’বার, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে জিহ্বা পরিষ্কার করুন।৩. মসৃণ প্রান্তযুক্ত একটি ভালো মানের স্ক্র্যাপার কিনুন।৪. জিহ্বায় হালকাভাবে স্ক্র্যাপার ব্যবহার করুন, যা কেটে-ছিঁড়ে না যায়।

যা করবেন না

১. জিহ্বা স্ক্র্যাপ করার সময় খুব বেশি চাপ দিবেন না। এতে জিহ্বার সংবেদনশীল পৃষ্ঠে আঘাত লাগে।২. জিহ্বায় সাদা দাগ বা আলসার দেখলে বা ক্ষত থাকলে স্ক্র্যাপিং চালিয়ে যাবেন না।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জেএমএস/জিকেএস