বিনোদন

চলতি বছর শোবিজ অঙ্গন হারিয়েছে যেসব প্রিয়মুখ

যারা আনন্দ-বিনোদন দিয়ে সবার মন প্রফুল্ল রাখেন তাদের বেশ কয়েজনকে চলতি বছর হারিয়েছে শোবিজ ভুবন। সিনেমা, ছোটপর্দার নাটক, মঞ্চ নাটক ও গানের ভুবনে যাদের অসামান্য অবদান ছিল তাদের বেশ কয়েকজন পাড়ি জমিয়েছেন অনন্তলোকে। এসব খ্যাতিমান মানুষের মধ্যে আছেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান, কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, অভিনেতা মাসুম আজিজ, অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ, গীতিকার কে জি মোস্তফা, আজিজুর রহমান ও সংগীতশিল্পী আকবর।

Advertisement

দেশের বরেণ্য গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। তিনি প্রায় ছয় দশক ধরে বেতার, টেলিভিশন ও সিনেমায় অসংখ্য গান লিখেছেন। সেই সঙ্গে ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ চলতি বছরের ৮ জুলাই না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিনি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য টেলিছবি, নাটক ও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি প্রায় ৪০০ টেলিভিশন নাটক ও প্রায় ১০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

বাংলা গানের অন্যতম সেরা সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খান চলতি বছরের ৮ জুলাই মারা যান। তিনি ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন। তাকে হারিয়ে দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আলম খানের সুরা করা গানের মধ্যে রয়েছে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ডাক দিয়েছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’ ইত্যাদি।

Advertisement

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত অভিনেতা, নাট্যকার মাসুম আজিজ চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তিনি ‘ঘানি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন। মাসুম আজিজ চার শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা আজিজুর রহমান চলতি বছরের ১৫ মার্চ কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোক গমন করেন। তার নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘মাটির ঘর’, ‘সাম্পানওয়ালা’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’ ইত্যাদি।

গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মুস্তাফা চলতি বছরের ৮ মে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সিনেমা, বেতার এবং টেলিভিশনের জন্য অনেক গান লিখেছেন। তার লেখা বেশ কয়েকটি গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। কে জি মুস্তাফার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’ ও ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’।

ইত্যাদির কণ্ঠশিল্পী খ্যাত আকবর ১৩ নভেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে ভুগছিলেন। আকবর ‘একদিন পাখি উড়ে’ গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন। এরপর ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে’ গানটি গেয়ে তিনি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

এমআই/এমএমএফ/জিকেএস

Advertisement