দেশজুড়ে

মোস্তফার কাছে ধরাশায়ী ৮ প্রার্থী, সাতজনই হারালেন জামানত

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অন্যরা। একমাত্র ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল কিছুটা সুবিধা করতে পারলেও বাকি সাত প্রার্থী তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ওই সাতজনই জামানত হারিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন শেষে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেখা যায়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট।

এছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ৫ হাজার ৮০৯, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল ২ হাজার ৮৬৪, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শফিয়ার রহমান ৫ হাজার ১৫৬ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ২ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়েছেন।

Advertisement

এদিকে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর ৪৪ বিধির ৩ উপবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ বা ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর কোনো প্রার্থী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আমিরুজ্জামান পিয়াল ছাড়া বাকি সাত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।

ফলাফলে দেখা যায়, মোট বৈধ ভোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬টি। এর আট ভাগের এক ভাগ ৩৪ হাজার ৯৯২, কিন্তু এই পরিমাণ ভোট পাননি বাকি সাত প্রার্থী।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন একজন।

জিতু কবীর/এমআরআর/জেআইএম

Advertisement