মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ভাগ্নের হাতে দুই মামা খুনের ঘটনায় তিন ভাগ্নেসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে নিহত আজিজ মোল্লার স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সিংগাইর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার আসামিরা হলেন-নিহত টেন্ডল মোল্লার ভাগ্নে জাহিদুল, আব্দুর রশিদ, জসিম উদ্দীনসহ ১৯ জন। এদিকে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার রাতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে, পারিবারিক কলহের জের ধরে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামে ভাগ্নের হাতে দুই মামা আজিজ মোল্লা (৫৫) ও টেন্ডল মোল্লা (৫০) খুন হন। আহত হন আরও এক মামা ও মামাতো ভাই। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত টেন্ডল মোল্লার বোন হাসিনা বেগম পাঁচ মাস আগে নিঃসন্তান অবস্থায় বাহরাইনে মারা যান। তার বোন রিজিয়ার ছেলে রশিদ একই সঙ্গে বাহরাইনে চাকরি করতেন। হাসিনার উপার্জিত টাকা-পয়সা ও গ্রামের বাড়িতে রেখে যাওয়া জমিজমা ভাগ্নে রশিদ, জাহিদুল ও জসিমরা হাতিয়ে নেয়। এই অর্থ ও সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে টেন্ডলের সঙ্গে ভাগিনাদের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এ নিয়ে ভাগিনাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন টেন্ডল। এর পরিপ্রেক্ষিতে টেন্ডলকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ও জমির অংশ ফেরত দেয়ার রায় দেন থানা পুলিশ। কিন্তু সেই রায় মানেননি ভাগ্নেরা। এর জের ধরে মামাদের সঙ্গে ভাগিনাদের একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টেন্ডলকে ভাগিনারা হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।এ নিয়ে রোববার সকালে শালিসী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেন্ডল ও তার ভাই আ.করিম, চাচাতো ভাই আজিজ ভাগ্নেদের বাড়িতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ভাগ্নে জাহিদুল, রশিদ ও জসিমসহ ৭-৮ জন মামাকে ঘরে তুলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং টেটাবিদ্ধ করে। এতে ঘটনাস্থলেই টেন্ডল মোল্লা ও আ.আজিজ মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় আ.করিমকে সাভারের এনাম ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।বি.এম খোরশেদ/এসএস/পিআর
Advertisement