রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায়। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শেষ হওয়ার কথা বিকেল সাড়ে ৪টায়। কিন্তু কিছু কেন্দ্রে এখনো ভোটগ্রহণ চলছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রাধাকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দারুন উলুম আলিয়া মাদরাসা, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কিশমতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিশবেতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৫টি কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অপরদিকে ভোটগ্রহণ শেষে কিছু কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জাগো নিউজকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন তাদের ভোটগ্রহণ চলছে। কিছু কিছু জায়গায় ইভিএমের সমস্যা হলেও আমরা তাৎক্ষণিক বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অব্যাহত রেখেছি। অনেক ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলার কারণে কিছু কেন্দ্রে সময় বেশি লেগেছে।
এবার মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Advertisement
এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তিনজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৭টি টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।
জিতু কবীর/এসজে/এমএস
Advertisement