দেশজুড়ে

মেঘনায় ডুবে যাওয়া জাহাজের উদ্ধারকাজ রাতে

ভোলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর উদ্ধারকাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে এসেছে সাগর বধূ-৩, সাগর বধূ-৪ ও সাগর নন্দিনী-৩ নামের তিনটি জাহাজ ও দুটি বার্জ।

Advertisement

রাতে ডুবে যাওয়া জাহাজের উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএইচআর নেভিকেশন লিমিটেডের নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিআইডব্লিউটিএ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, ধারণক্ষমতার অধিক হওয়ায় তারা এটি উদ্ধার করতে সক্ষম হবেন না। এরপর মালিক পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি জাহাজ, দুটি বার্জ ও জনবল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আমরা আশা করছি রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারবো। বুধবারের (২৮ ডিসেম্বর) কাজ শেষ হবে।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট এম হাসান মেহেদী জানান, আধুনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে জাহাজের তেল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে নদীতে ভাসমান তেল নেই বললেই চলে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে কোস্টগার্ড সদস্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছেন, যাতে জাহাজের কোনো মালামাল চুরি বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা জাহাজের নিরাপত্তা দিয়ে যাবেন।

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভোলার সদর উপজেলার তুলাতুলি ইলিশ বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র সংলগ্ন মেঘনা নদীতে পেছন থেকে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ছিদ্র হয়ে পানি প্রবেশ করে ডুবে যায় সাগর নন্দিনী-২ নামের তেলবোঝাই জাহাজটি।

জাহাজদের স্টাফরা জানিয়েছেন, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯০০ টন অকটেন ও ডিজেল লোড নিয়ে চাঁদপুরের ৫ নম্বর ঘাটে পদ্মা ডিপোর উদ্দেশ্যে ১৩ জন স্টাফসহ রওনা হয়েছিল জাহাজটি। ডুবে যাওয়া জাহাজের সব স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির পক্ষ থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জেআইএম

Advertisement