আন্তর্জাতিক

নতুন বছরে কেমন হবে ব্যবসা পরিস্থিতি?

কয়েক দিন পরেই শুরু হবে নতুন বছর। নতুন আশা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে হাজির হচ্ছে ২০২৩ সাল। তবে অতীতের কিছু ক্ষত বয়ে নিতে হবে তাকেও। ২০২২’র মতো ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনাভাইরাস মহামারি থাকবে আগামী বছরেও। ভোগ্যপণ্যের চড়া দামে উৎপাদকরা উপকৃত হলেও খাদ্য অনিশ্চয়তা বাড়বে। বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৩ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির হার ছয় শতাংশের ওপরে থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ে বহু অর্থনীতি।

Advertisement

দেখে নেওয়া যাক ২০২২ সালে ঘটে যাওয়া এমন ১০টি ঘটনা বা বিষয়, যা ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির সম্ভাব্য গতিনির্ধারক হয়ে উঠতে পারে-

১. ২০২২ সালে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভসহ পশ্চিমা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নীতি শিথিল রেখেছিল চীন। ২০২৩ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।

২. নতুন বছরেও মূল্যস্ফীতি সংকট ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের ক্ষতি করতে পারে। কমতে পারে ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধিও। সার্বিক বেচাকেনায় অনলাইনের অংশ বেড়ে ১৪ শতাংশে পৌঁছাবে, যা ২০২২ সালের তুলনায় সামান্য বেশি।

Advertisement

৩. করোনাভাইরাস আরও অনেকের প্রাণ নিতে পারে। কিন্তু এর সংখ্যা ফ্লুতে মৃতের সংখ্যার চেয়ে অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসবে। জিরো কোভিড নীতি প্রত্যাহার করতে পারে চীন, তাতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৪. এশিয়ার ক্রমবর্ধমান জ্বালানি ক্ষুধায় বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রাক-মহামারির মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ওপেক নামমাত্র উৎপাদন বাড়ানোয় দাম কিছুটা কমতে পারে।

৫. মন্দার ঝুঁকি এবং সুদের হার বৃদ্ধি সত্ত্বেও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ছয় শতাংশের বেশি বাড়বে। যন্ত্রাংশ বিক্রি হতাশ করলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাজার ফুলেফেঁপে ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে।

৬. নতুন সাবস্ক্রাইবার পাওয়া দুঃসাধ্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠলেও স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলো কন্টেন্ট তৈরিতে মোটা অংকের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। যেমন- নেটফ্লিক্স বার্ষিক ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনায় অনড় থাকতে পারে।

Advertisement

৭. ২০২৩ সালে নতুন গাড়ি বিক্রি বাড়বে মাত্র এক শতাংশ। তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হার বাড়তে পারে ২৫ শতাংশ।

৮. প্রতিরক্ষা খাতে বিশ্বের বৃহত্তম খরুচে দেশ যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে বাৎসরিক ব্যয় ৮০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করবে, যা চীনের তুলনায় তিনগুণ বেশি। কিন্তু মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে গিয়ে সংকুচিত হবে মার্কিনিদের বাজেট।

৯. নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধগতি থামতে পারে। এটি কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের ৮০ কোটি ক্ষুধার্ত মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।

১০. আন্তর্জাতিক আগমন ৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় আকাশভ্রমণ লাভজনক হয়ে উঠবে। তবে সেটি প্রাক-মহামারি মাত্রার নিচেই থাকতে পারে। অনেক ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী সশরীরে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইনে সাক্ষাৎ পদ্ধতি বেছে নেবেন।

সূত্র: দ্য ইকোনমিস্টকেএএ/