আন্তর্জাতিক

মেসির ট্যাটু বানানোর হিড়িক

ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জয় পাওয়ার পর মেসি ভক্তদের যেন আনন্দের শেষ নেই। এমনকি শ্রদ্ধা জানাতে নিজেদের শরীরে 'মেসি ট্যাটু' বানাচ্ছেন আর্জেন্টাইনরা।

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরে ট্যাটু বানানো শিল্পীদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন আর্জেন্টাইন ভক্তরা। শুধু তাই নয় লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকছেন তারা।

আর্জেন্টিনার ফুটবল দল দেশে ফিরলে শুরু হয় উৎসব। ট্যাটু শিল্পীরা বলছেন, এর আগে থেকেই অনেকে ট্যাটু করার জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন।

‘ফুটবল জ্বর’ আক্ষরিক অর্থেই তার চিহ্ন রেখে যাচ্ছে। ট্যাটু শিল্পী এস্তেবান ভুসিনোভিচ রাজধানীতে কাজ করেন। এএফপিকে তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের জন্য, আমার একচেটিয়াভাবে বুকিং দেওয়া আছে।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ সাপ বা খুলির ট্যাটু করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেন, কিন্তু তারা এটিকে মেসির ট্যাটু বা বিশ্বকাপ ট্যাটু বানাতে চান এখন।

সবচেয়ে বেশি অনুরোধ করা স্কিন আর্ট হলো ট্রফি, তারপরে মেসি এবং তারপরে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ যিনি ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালে আলবিসেলেস্তেদের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

অনেক ভক্ত আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়দেরও আঁকা ট্যাটু পছন্দ করছেন। যেমন, ডি মারিয়ার, যিনি সম্প্রতি তার ডান পায়ে বিশ্বকাপের উলকি আঁকিয়েছেন।

অনেকে মেসির ট্যাটু এঁকে বলছেন, এটি তাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য। নিকোলাস রেচিনিক নামে একজন বলছিলেন, এটি অবশ্য টিমের সবার জন্য যারা জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

Advertisement

ফুটবল অনুরাগী ২০ বছর বয়সী আলমা ওকাম্পো বলেন, তিনি ট্যাটু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যখন, সবাইকে অবাক করে দিয়ে, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে যায়।

তিনি বলেন, ‘সবাই যখন হতাশ হয়ে পড়েছিল, আমি সিদ্ধান্ত নেই ট্যাটু করার, যদি আর্জেন্টিনা জেতে।’

তবে সবার আঁকা ট্যাটু একই রকম নয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘুরে বেড়ানো ছবিগুলো থেকেও আইডিয়া নিচ্ছেন।

সূত্র: বুয়েনোস আইরেস টাইমস

এসএনআর/জেআইএম