রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ধীরগতিতে চলছে ভোটগ্রহণ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে জটিলতায় পড়ছেন অনেক ভোটার। এতে সময় বেশি লাগছে। বিষয়টি নিয়ে কিছু ভোটারকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রংপুর সিটি কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হলেও ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেক ভোটার।
সিটি কলেজ কেন্দ্রের ভোটার আল আমিন বলেন, বয়স্ক কিছু ব্যক্তি ইভিএম সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারছেন না। বুঝিয়ে দিলেও তারা বুঝতে পারছেন না। এতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অন্য ভোটারদের।
একই অভিযোগ করেন মহসিন নামে আরেক ভোটার।
Advertisement
তবে দীপিকা রানী নামে এক নারী ভোটার জানান, এর আগেও তিনি ইভিএমে ভোট দিয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা আছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কেন্দ্রে ২ হাজার ৫৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, দুই-একটি কেন্দ্রে ইভিএমে সমস্যা হলেও তাৎক্ষণিক সেটা ঠিক করা হয়েছে।
আঙুলের ছাপ না মেলার প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সকালে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে অনেকের হাতের আঙুল শক্ত হয়েছিল। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেছেন, সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। রংপুরের মানুষ নৌকার সঙ্গে আছে। উন্নয়নের স্বার্থে বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করবেন।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা প্রথম দফার চেষ্টায় ইভিএমে ভোট দিতে ব্যর্থ হন। পরে অবশ্য দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ভোট দিতে সমর্থ হন তিনি।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম এই ইভিএম নিয়ে। অবশেষে সেটাই সত্য হলো। ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ে। এ কারণে প্রথম চেষ্টায় ভোট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
জিতু কবির/এমআরআর/এএসএম