চীনে বেশ কয়েকদিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমণ। এ মাসের প্রথম দিকে কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরপরই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ হুহু করে বাড়তে থাকে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এখন থেকে বিদেশ থেকে আসা কাউকে আর বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না জানিয়েছে চীন সরকার। ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে থেকে এটি কার্যকর হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে করোনাভাইরাসের সন্ধান মেলার পর দেশটিতে প্রায় তিন বছর কঠোর বিধিনিষেধ চালু ছিল। কিন্তু এ বছরের নভেম্বরে ‘জিরো কোভিড নীতি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভ ঘনীভূত হওয়ায় করোনাসংক্রন্ত কঠোর নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় শি জিনপিং প্রশাসন। আর এ নীতি পুরোপুরি উঠিয়ে নেওয়া হলো বিদেশ থেকে আসা মানুষের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বাতিলের মাধ্যমে।
Advertisement
তবে সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে সবধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কয়েকদিন আগে দেওয়া এক ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, এখন আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে শিগগির কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
চীনে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশিদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে সম্প্রতি সে সময় কমিয়ে পাঁচদিন করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমমিশ খাচ্ছেন চীনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরই মধ্যে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করবে না।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি জানায়, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
Advertisement
সাংহাই শহরের ডেজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ধারণা, এ মুহূর্তে শহরটির ৫৪ লাখ ৩০ হাজার মানুষ করোনা পজিটিভ। বছর শেষ হতে এ সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখে উন্নীত হতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ