সারা বিশ্বের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননেও চলছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব খ্রিস্টমাস ও বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। বিশেষ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর রাজধানী বৈরুতসহ পুরো লেবাননে সাজসাজ রবরব বিরাজ করে। তবে এবারের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। করোনার প্রভাব না থাকলেও চলছে অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি ও বিদ্যুৎ সংকট।
Advertisement
শহরে নেই নানা রংয়ের আলোর ঝলকানি। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে অর্থকষ্টে থাকা স্থানীয় নাগরিকদের আনন্দে কিছুটা ভাটা পড়েছে। নেই আগের মতো উৎসবের আমেজ। দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে শোভা পাচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। বৈরুতের প্রাণকেন্দ্র ডাউনটাউন, গির্জাসহ বড় বড় বিপণীবিতানগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে।
সেখানেই দলবদ্ধ হয়ে সবাই আনন্দ উপভোগ করছে। শিশু-কিশোরদের আনন্দ দিতে চলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। খ্রিস্টমাসের সাজে সান্তা ক্লজ হাতে ঘণ্টা বাজিয়ে সবাইকে আনন্দ দিচ্ছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সাধ্যমতো আনন্দে মেতে উঠেছে। যেন উৎসবকে ঘিরে সবধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ।
বাংলাদেশি মিন্টু মাল কাজ করেন লেবাননের সবচেয়ে বড় বিপণীবিতান সিটি সেন্টারে। আলাপকালে তিনি জানান, খ্রিস্টমাস ও ইংরেজি বর্ষবরণ এই দুটি উৎসবের জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম। কারণ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বাড়তি আয়ের সুবিধা ছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। অর্থনৈতিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি আমাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে।
Advertisement
আরেক বাংলাদেশি মাহবুব ইসলাম জানান, এবারের উৎসবকে কেন্দ্র করে বিপণীবিতানগুলোতে সবচেয়ে ভিড় বেশি। করোনামুক্ত পরিবেশে এবার সবাই খ্রিস্টমাস ও ইংরেজি বর্ষবরণের আনন্দ উপভোগ করছে। তবে অর্থনৈতিক মন্দায় আনন্দের মাত্রা অনেকটাই কম।
ম্যাকডোনাল্ডস রেস্টুরেন্টে কাজ করেন ৬ বাংলাদেশি। উৎসবকে ঘিরে তারাও জানালেন একই কথা। বর্তমানে মাসিক বেতন ব্যতীত উৎসবে তেমন বকশিশ পাওয়া যায় না।
মুদ্রাস্ফীতি কাটিয়ে লেবানন পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে, উৎসব সবার জন্য আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছে স্থানীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশিরা।
এমআরএম/এমএস
Advertisement