পঞ্চগড়ে গণমিছিলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় রশিদ আরেফিন নামের এক নেতা মারা গেছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। যদিও এমন মৃত্যুর খবর জানে না পুলিশ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, ‘সারাদেশের মতো পঞ্চগড়েও গণমিছিল বের করা হয়। কিন্তু পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দেয়। এতে বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন মারা যান। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি পাথরাজ এলাকায়।’
এছাড়া মিছিল থেকে বেশ কয়েকজনকে নেতাকর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিএনপির এ নেতা।
Advertisement
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তৌফিক আহামেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আরেফিন নামে একজন হাসপাতালে আসার আগেই মারা গেছেন। তবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।’
তবে নিহতের বিষয়টি অস্বীকার করেনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাকিবুল হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, সেখানে গুলি করা হয়নি। কেউ মারা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কীভাবে কী হয়েছে এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। মারমুখী হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমরা ২০-২৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়েছি। আমাদের প্রায় ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সফিকুল আলম/এসজে/জেআইএম
Advertisement