বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার তিনি; কিন্তু সাকিব আল হাসানের ফর্মটা ঠিক তার সঙ্গে সমানতালে চলতে পারছে না। শুনছে না সাকিবের নিজের কথাও। লম্ব সময় ধরে ফর্ম ভিন্ন আচরণ করছে সাকিবের নিজের সঙ্গেই। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে দল প্লে-অফ পর্যন্ত গিয়েছে ঠিক; কিন্তু সাকিব ঠিক নিজের মত করে খেলতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ছিলেন নিষ্প্রভ। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্রথম ম্যাচে ম্যাচজয়ী ৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব; কিন্তু পরের সাত ম্যাচে আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি তাকে। মাত্র ৭৫ রান করেছেন শেষ ৭ ম্যাচে। শুধু ব্যাট কেন, বল হাতেও ছিলেন একেবারে অফফর্মে। ৮ ম্যাচ মিলিয়ে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৩টি।এমন বাজে ফর্মের কারণে টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাংকিংয়ে নেমে গেছেন দ্বিতীয় স্থানে। মাঝে-মধ্যেই লম্বা সময়ের জন্য অফ ফর্মে থাকতে হয় সাকিবকে। সময়টা নিশ্চিত তার জন্য খুবই দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। ফর্মে ফেরার জন্য জান-প্রান দিয়ে চেষ্টা করেন তিনি। সাকিব নিজেও জানেন, খারাপ সময় থেকে বের হতে হলে কী করতে হবে তাকে, কার কাছে যেতে হবে। সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আর তিনদিন পরই শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। সুতরাং, ছোটবেলার শিক্ষক কোচ সালাউদ্দিনের শরণাপন্ন হয়ে গেলেন তিনি। শনিবারই গুরুর সান্নিধ্যে সাকিব কাটালেন তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার সেশনে সাকিব চেষ্টা করেছেন, তার ভুলগুলো বরে করার এবং সেগুলো কিভাবে শোধরানো যায়।সালাউদ্দিনের কাছ থেকে তিন ঘণ্টার সেশন শেষ করে আসার পর সাকিব বলেন, `আমি সব সময়ই দেশের জার্সি পরে মাঠে নামার পর উত্তেজনাবোধ করি। কারণ, এই জার্সিটাই আমার কাছে বড় অনুপ্রেরণা। সুতরাং, দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিতে কোন খাঁদ রাখতে চাই না। এ কারণেই আমি চেষ্টা করেছি, সীমাবদ্ধতাগুলো শোধরানোর চেষ্টা। আমার বিশ্বাস, এই সেশনটা মাঠে নামার পর আমার খেলায় বেশ কাজে আসবে। ভুলগুলো শুধরে আবার সঠিক ফর্মে ফিরতে পারবো।`আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement