আমেরিকার অ্যারিজোনায় পাথুরে জমির মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে কলোরাডো নদী। আর সেই নদীর পানিতে পাথর ক্ষয়ে তৈরি হয়েছে আশ্চর্য এক ভূমিরূপ। যার নাম গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।
Advertisement
সেই অদ্ভূত গিরিখাত দেখতে সারা পৃথিবী থেকে হাজারো মানুষ প্রতিবছর ছুটে যান সেখানে। তবে কেউ যদি যাদের আমেরিকায় যাওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা ভারত গিয়েও দেখে আসতে পারবেন বিস্ময়কর গ্র্যান্ড ক্যানিয়নেরই ছোট্ট এক সংস্করণ।
ভারতের এই স্থানের নাম গনগনি। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় শিলাবতী নদীর ধারে অবস্থিত স্থানটিকে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নও বলা হয়।
যদি উঁচু-নিচু ভূমিরূপ আর বন-জঙ্গল আপনার পছন্দের হয়, তাহলে ভারত ভ্রমণে ঘুরে আসতে ভুলবেন না গনগনি। শিলাবতী নদীর মধ্য দিয়ে এই ভূমিরূপ তৈরি করেছে।
Advertisement
কোথাও গুহা আবার কোথাও অজানা কোনো প্রাণীর মুখ। সূর্যাস্তের সময় শিলাবতীর রূপ মোহিত করবে আপনাকে। তবে সেই দৃশ্য দেখতে হলে সূর্যাস্তের আগেই নদীখাত থেকে উপরে উঠে আসতে হবে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে এই স্থানে বহু পর্যটকের ভিড় জমে।
কীভাবে যাবেন?
সড়কপথে কলকাতা থেকে যেতে চাইলে আরামবাগ হয়ে যেতে পারেন। আর না হলে কোলাঘাট, শালবনী হয়ে চন্দ্রকোনা রোড ধরে পৌঁছে যেতে পারেন গনগনি।
যারা ট্রেনে যাবেন, তাদের রূপসী বাংলা কিংবা আরণ্যকের মতো কোনো পুরুলিয়াগামী ট্রেনে চেপে নামতে হবে গড়বেতা স্টেশনে।
Advertisement
স্টেশন থেকে রিকশা বা টোটোতে করে কলেজ মোড়। কলেজ মোড় থেকে গনগনি এক দেড় কিলোমিটার। প্রাকৃতিক শোভা দেখতে দেখতে হেঁটেই পৌঁছে যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
যদিও গনগনিতে থাকার বিশেষ কোনো জায়গা নেই। তবে সম্প্রতি পর্যটন দফতরের উদ্যোগে একটি পর্যটক আবাস, ও নজর মিনার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পর্যটকরা সেখানে গেলে রাত কাটান গড়বেতায়। এছাড়া কলেজ মোড়ে যাওয়ার পথে একটি আশ্রম আছে। সেখানেও অনেকে থেকে যান রাতে।
জেএমএস/এএসএম