দেশজুড়ে

বরিশালে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ : আহত অর্ধশত

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যদা প্রদানসহ ১০ দফা দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধকারী ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শিক্ষার্থীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিচার্জ এবং ইটের আঘাতে ২ পুলিশ কনস্টেবলসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর বান্দ রোড মেডিকেল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইএইচটি শিক্ষার্থীরা জানায়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যদার দাবিতে গত কিছুদিন ধরেই তারা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। বুধবার সকালে বান্দ রোডে মেডিকেল কলেজের সামনে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। লাঠিচার্জে তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে নারী পুলিশ থাকার পরও পুরুষ পুলিশ দিয়ে আইএইচটি ছাত্রীদের নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার দাবি করেছেন। না হলে তারা ইনস্টিটিউট বন্ধ করে দেয়াসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।  বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান জানান, রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায় হয়না। দাবি আদায়ের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হয়। এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেছিল। তখন তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আজ সড়ক অবরোধকালে পুলিশ তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্খিত আচরণ করায় জনগণের চলাচলের সুবির্ধার্থে পুলিশ বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।  ছাত্রীদের উপর পুরুষ পুলিশদের হামলার বিষয় তিনি বলেন, কোনো অশালীন উদ্দেশ্যে নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্যই তাদের এমনটা করতে হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩ জনকে আটকের কথা বলেন তিনি।  এর আগে একই দাবিতে গত ২২ নভেম্বর শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বান্দ রোডে, ২৪ নভেম্বর সদর রোডে মানববন্ধন এবং ৩০ নভেম্বর সদর রোডে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ২ দিন তারা সড়ক অবরোধ করে।

Advertisement