বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যাটিংয়ে চরম হতাশ জেমি সিডন্স সাকিবের অ্যাপ্রোচেও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রথম দিন খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে টাইগার ব্যাটিং কোচ সরাসরি নাম ধরে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন।
Advertisement
সিডন্স বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়রাও ভুল করেছে, যা খুবই হতাশার। সাকিব স্পিনার ও পেসারদের বিপক্ষে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গেছে বারবার। বোঝাই যাচ্ছিল, বোলারদের লেন্থ বদলাতেই সাকিবের অমন অ্যাপ্রোচ ছিল। মনে হয় সাকিব ভারতীয় বোলারদের লেন্থ নিয়ে চিন্তিত ছিল। তাই সে ওটা বদলানোর চেষ্টা করেছে, যা কাজে দেয়নি। এর চেয়ে ধৈর্য ধরে উইকেটে টিকে থাকলে কিছু আলগা ডেলিভারি পেতো।’
টাইগার ব্যাটিং কোচ যোগ করেন, ‘সেটা একান্তই সাকিবের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমার জন্য তা দেখা ছিল খুবই হতাশার।’
সাকিব টেস্টে ৪ নম্বরে খেলেন খুব কম। ক্যারিয়ারে আজ নিয়ে ষষ্ঠবার চারে খেলতে নেমেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু তার ব্যাটিংয়ে দায়িত্ববোধের কমতি ছিল। তাকে চারে খেলানো কেন? এটা কি ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্য?
Advertisement
জেমি বলেন, ‘এটা মূলত সাকিবের ইচ্ছায়ই হয়েছে। সাকিব মনে করেছে সে ফর্মে আছে, তাই চারে খেলাটা উত্তম। সে কারণেই বাকিদের পেছনে ঠেলে সাকিব ওপরে উঠে এসেছে। আমরা চাচ্ছিলাম দ্রুত উইকেটের পতন ঠেকাতে। তবে অধিনায়ক যেটা চেয়েছে, সেটাও ভালো। যদিও তা কাজে দেয়নি।’
সাকিবকে ওপরে খেলানো ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের জন্য নয়, জানিয়ে সিডন্স বলেন, ‘আমরা মনে করেছি আমাদের বেস্ট প্লেয়ারকে আমরা ওপরে সুযোগ দিয়েছি। তবে সেটা লেফট আর রাইট কম্বিনেশনের জন্য নয়। আমরা ভাগ্যবান যে কুলদীপ যাদব এ ম্যাচ খেলেনি। সে আরেকজন যে বাঁহাতিদের বিপক্ষেও বল ঘুরিয়ে বাইরে নিতে পারে।’
সিডন্স শেষ করেন এভাবে, ‘আমাদের মুমিনুল ৮৪ করেছে। অন্য বাঁহাতিরা রান করলে আমাদের স্কোরবোর্ডটা আরও মোটাতাজা হতো। আমার মনে হয় একসময় আমরা খুব ভালো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে ১৪ রানে ৫ উইকেট পড়ায় সর্বনাশ হয়েছে। এ পিচে ৩০০ খুব ভালো স্কোর হতো।’
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement