ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনের সামনে ডাকসু নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ২৪ ঘটনার মধ্যে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার কথা বললেও তিন বছরে বিচার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
Advertisement
আরও পড়ুন >> নুরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে বাধার মুখে নানক নাছিম
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সভায় এ কথা বলেন তিনি। ২০১৯ সালের এদিনে ডাকসু ভবনের সামনে এসে হামলা করে ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতাদের আহত করার ঘটনায় ‘ডাকসুর হামলা বিচারহীনতার তিন বছর’ শীর্ষক ব্যানারে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন >> নুরের ওপর হামলাকারীদের ঢাবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধের দাবি
Advertisement
প্রতিবাদ সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন নেতারা হলগুলোর গণরুম-গেস্টরুমকে টর্চারসেল হিসেবে ব্যবহার করছে। সবাইকে আতঙ্কে রেখেছে, যেনো তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে। ডাকসু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, অধিকার কেউ দেবে না, আওয়াজ তুলতে হবে। প্রশাসন অধিকার দিতে বাধ্য হবে। ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন >> ‘প্রক্টরের মদদে ডাকসুর সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব’
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা বিচারহীনতার সমাজে বাস করছি। তারই দৃষ্টান্ত উদাহরণ ২০১৯ সালে সাধারণ ছাত্রদের ওপর বর্বরোচিত হামলা। ১৯৫২ সালে যেমন ছাত্রছাত্রীরা জেগেছিল। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও শিক্ষার পরিবেশ ও সবার সমান অধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রছাত্রীদের জেগে উঠতে হবে।
আরও পড়ুন >> ডাকসুতে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: কাদের
Advertisement
তিনি বলেন, ‘ঢাবিতে ছাত্রছাত্রীদের থাকার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে একরুমে ৩০-৪০ জন ছাত্র রেখে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে! এদেশ স্বাধীন হয়েছে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য অথচ মেহনতি মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পাচ্ছেন না। প্রশাসন দাবি করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ অথচ প্রতিটি মানুষের গড় ঋণ ৯৬ হাজার টাকা। এভাবে কোনো দেশ স্মার্ট হয় না। মানুষকে কথা বলার অধিকার, রাজনীতি চর্চার অধিকার দিতে হবে। হলগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন >> ডাকসু ভিপির ওপর হামলায় রাবিতে প্রতিবাদ
ছাত্রলীগের নেতৃত্ব ডাকসুতে হামলার ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে। তাই তাকে শাস্তি না দিয়ে পুরস্কৃত করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি করা হয়েছে। প্রশাসনের উচিত এর সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এসময় তিনি সব ছাত্রসংগঠনকে একত্রিত হয়ে দলমত নির্বিশেষে মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের চেষ্টার আহ্বান জানান।
আল-সাদী ভূঁইয়া/এমএএইচ/জেআইএম