চলছে পৌষ মাস। ক্ষেতে অনেক ফসল। আবার অনেকে বোরো ধানের জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। সেগুলোর যত্ন কিভাবে নেবেন বা কোন প্রযুক্তি সুবিধাজনক হবে চাষিদের সেই পরামর্শ দিয়েছে কষি তথ্য সার্ভিস।
Advertisement
সংস্থাটি বলছে, এ সময় বোরো ধানের ক্ষেত্রে আগের জাত ব্রি ধান২৮ ও ব্রি ধান২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৯৬, ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান১৯, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রি ধান ১০১, ব্রি ধান ১০২, বিনা ধান ১০, বিনা ধান ১৪, বিনা ধান ২৪ ও অনুমোদিত হাইব্রিড ধান আবাদ করুন। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চাষের জন্য ট্রেতে চারা তৈরি করুন।
কোন এলাকায় অতিরিক্ত ঠান্ডার সময় বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢেকে রাখুন এবং বীজতলার পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিন। প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমা হওয়া শিশির ঝরিয়ে দিন। চারাগাছ হলদে হয়ে গেলে প্রতি বর্গমিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগ করুন।
এরপরও যদি চারা সবুজ না হয় তবে প্রতি বর্গমিটারে ১০ গ্রাম করে জিপসাম দিন। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করে জমি তৈরি করুন, লাভবান হোন। চারা রোপণে রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার ব্যবহার করুন। সময় ও খরচ উভয়ই বাঁচান। চারার বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ করুন।
Advertisement
গম: চারার বয়স ১৭ থেকে ২১ দিন হলে প্রথম সেচ দিন। একরপ্রতি ১২ থেকে ১৪ কেজি ইউরিয়া সার প্রয়োগ করে এবং বপনের ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে উইডার দিয়ে গমক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করুন।
ভুট্টা: ভুট্টাক্ষেতের গাছের গোড়ার মাটি তুলে দিন। গোড়ার মাটির সঙ্গে ইউরিয়া সার ভালো করে মিশিয়ে দিয়ে সেচ দিন। গাছের নিচের দিকের মরা পাতা ভেঙে দিন।
আলু: চারা রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর মাটি তোলার সময় ইউরিয়া সার উপরিপ্রয়োগ করুন। লেট ব্লাইট (নাবি ধসা) রোগ থেকে আলু রক্ষার্থে নিম্ন তাপমাত্রা, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও বৃষ্টির পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাইথেন এম-৪৫ অথবা হেমেনকোজেব অথবা ইন্ডোফিল প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর স্প্রে করুন। গাছে রোগ দেখা দেওয়া মাত্রই সাতদিন পরপর সিকিউর অথবা অ্যাক্রোভেট এম জেড ২ গ্রাম/লিটার হারে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
তুলা: তুলা পরিপক্ক হলে রৌদ্রময় শুকনা দিনে বীজ তুলা সংগ্রহ করুন। ভালো তুলা আলাদাভাবে তুলে ৩ থেকে ৪ বার রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করুন।
Advertisement
ডাল ও তেল ফসল: সরিষা, তিসি এগুলো ৮০ ভাগ পাকলেই সংগ্রহের ব্যবস্থা নিন। ডাল ফসলের ক্ষেত্রে গাছ গোড়াসহ না উঠিয়ে মাটি থেকে কয়েক ইঞ্চি রেখে ফসল সংগ্রহ করুন।
শাকসবজি: লালশাক, মুলাশাক, পালংশাক একবার শেষ হয়ে গেলে আবার বীজ বুনে দিন। শীতকালে মাটিতে রস কমে যায় বলে সবজি ক্ষেতে চাহিদামাফিক নিয়মিত সেচ দিন।
বিবিধ: অধিক লাভবান হতে উচ্চমূল্যের ফসল আবাদ করুন। স্বল্পকালীন ও উচ্চফলনশীল জাত নির্বাচন করুন অধিক ফসল ঘরে তুলুন। শ্রম, সময় ও খরচ সাশ্রয়ে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের মাধ্যমে আবাদ করুন।
এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস