অর্থনীতি

আবারও সেরা করদাতা হলেন কাউছ মিয়া

হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী হাজী মো. কাউছ মিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো ২০২১-২২ করবর্ষেও সেরা করাদাতা হয়েছেন। আলোচ্য করবর্ষে সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। তবে আগের কয়েক বছর তিনি ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Advertisement

এছাড়া খাদ্য আনুষঙ্গিক ক্যাটাগরিতে দেশের সর্ব বৃহৎ শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএলের প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড পাচ্ছে সেরা করদাতার সম্মাননা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাউছ মিয়াসহ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সেরা করদাতা হিসেবে মোট ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ডের জন্য মনোনীত করেছে।

গত রোববার (১৮ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ অধিশাখা-২ (কর) এর সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসুর সই করা প্রজ্ঞাপনে ব্যক্তি, কোম্পানি ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেরা করদাতাদের মধ্যে ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন, কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ৫৩ প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১২টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪১টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স কার্ড পাচ্ছেন।

Advertisement

২০০৮ সাল থেকে কাউছ মিয়া দেশে ব্যবসায়ী শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতাদের একজন। গত ৬১ বছর ধরে কর দিয়ে আসছেন তিনি। প্রথম কর দেন ১৯৫৮ সালে।

চলতি বছর সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে মো. কাউছ মিয়ার পাশাপাশি খাজা তাজমহল, ফজলুর রহমান, এম সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসানকে সেরা করদাতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

এর আগে মুজিববর্ষের সেরা করদাতা হিসেবেও বিশেষ সম্মাননা পান কাউছ মিয়া। ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকারের সময় শীর্ষ করদাতা হয়েছিলেন। সব মিলিয়ে কাউছ মিয়া ১৪ বার সেরা করদাতা হিসেবে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। চাঁদপুর জেলার রাজরাজেশ্বর গ্রামে (ব্রিটিশ আমলের ত্রিপুরা) ১৯৩১ সালের ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন কাউছ মিয়া। বাবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে মুদি দোকান দেন।

পরে ধীরে ধীরে ১৮টি ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট ছিলেন। এরপর ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন। ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন এবং তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে ৪০-৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। তবে তার মূল ব্যবসা তামাক বেচাকেনা।

Advertisement

কেএসআর/জিকেএস