দস্যুদের হাতে সাতদিন জিম্মি থাকার পর ফিরে এসেছেন আট জেলে। পরিবারের দাবি, মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
Advertisement
উদ্ধার আট জেলে হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার বুজবুনিয়া গ্রামের মৃত জহুর শেখের ছেলে মো. আকরাম শেখ (৪২), বুজবুনিয়ার মৃত মোশারেফ খাঁনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৫), খুলনার রুপসার আলাইপুর গ্রামের মুসা শিকদারের ছেলে ওলি শিকাদার (৪৮), বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে বখতিয়ার ব্যাপারী (৩৫), মোংলার দক্ষিণ হলদিবুনিয়া গ্রামের নাসির উদ্দিন শেখের ছেলে আনিস শেখ (২২), একই গ্রামের সোহরাব শেখের ছেলে মিলন শেখ (২৩), বৈদ্যমারী গ্রামের জামাল ব্যাপারীর ছেলে শুকুর আলী ব্যাপারী (৩০), একই গ্রামের আলতাফ ব্যাপারীর ছেলে মনির ব্যাপারী (৩৬)।
তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ কার্যালয় থেকে বৈধ পাস পারমিট নিয়ে ১৩ ডিসেম্বর সুন্দরবনে কাঁকড়া এবং বড়সি দিয়ে মাছ ধরতে আটটি নৌকা নিয়ে যান জেলেরা। তাদের ওপর হামলা চালায় বনদস্যুরা। জেলের মারধ করা হয়। নৌকায় থাকা মাছসহ অন্য মালামাল লুটে নেয় তারা। একইসঙ্গে প্রতিটি নৌকা থেকে একজন করে জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দস্যুরা।
তাদের কাছে সাতদিন জিম্মি থাকার পর মঙ্গলবার রাতে মুক্তিপণের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পেয়ে জেলেদের বনবিভাগের হরিণটানা টহল ফাঁড়িতে রেখ যায় তারা। হরিণটানা টহল ফাঁড়ির ট্রলারে বুধবার সকাল ৮টার দিকে বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ অফিসে আসেন জেলেরা। মোংলা থানা পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুর ১২টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। তবে পুলিশের দাবি তারাই আট জেলেকে উদ্ধার করেছে।
Advertisement
দস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া জেলে ফারুক খাঁন বলেন, ‘আমাদের নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের কাছে দুটি পাইপগান, ছয়টি রামদা ও বেশকিছু লাঠি ছিল। দুটি ডিঙ্গি নৌকায় আটজন দস্যু ছিল। তাদের কাছে এখনো আরও ৩০-৩৫ জেলে জিম্মি আছেন।
তবে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের দাবি পুলিশই আট জেলেকে উদ্ধার করেছে।
আবু হোসাইন সুমন/এসজে/জেআইএম
Advertisement