রাজনীতি

ভাসানীকে নিয়ে কটূক্তি, শামীম পাটোয়ারীকে ক্ষমা চাইতে হবে: ন্যাপ

মওলানা ভাসানীকে নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর মন্তব্যের জন্য প্রশ্ন রেখেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

Advertisement

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে মওলানা ভাসানী নিয়ে কটূক্তি করার জন্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সংকটে হাসপাতালে চলে যেতেন ভাসানী, অর্থমন্ত্রীও কি তাকে অনুসরণ করছেন- এ মন্তব্যের মাধ্যমে শামীম পাটোয়ারী নিজের অজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দৈনতা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রমাণ করলেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে তিনি তা বিশ্বাস করেন না।’

তিনি বলেন, ‘শামীম হায়দার পাটোয়ারী হয়তো জানেনই না, মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলীম লীগ যা পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট গঠন, ৫৭ সালে পাকিস্তানী শাসকগোষ্টির বিরুদ্ধে আসসালামু আলাইকুম উচ্চারণের মাধ্যমে বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখানো, ৬৯’র গণআন্দোলনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তকরা, ৭০-এ ঘুর্ণিঝড় পরবর্তীতে ভোটের বাক্সে লাথি মারো পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর, ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধকালিন প্রবাসী সরকারের প্রধান, ১৯৭৬ সালে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ এভাবে শত শত রাজনৈতিক ঘটনার মহানায়ক হচ্ছেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী।’

Advertisement

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘মওলানা ভাসানী সম্পর্কে এ বক্তব্যের জন্য তাকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এসব নীতিহীন মানুষদের রাজনীতি থেকে বিদায় করতে হবে।’

ন্যাপ মহাসচিব মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে নিয়ে শামীম হায়দারের ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে এমন বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

কেএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Advertisement