দেশজুড়ে

‘গলার কাঁটা’ কাটাখালী সেতু

নির্মাণের এক বছর পার হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পুঠিয়ারপাড়া ও বন্ধরৌহা গ্রামের কাটাখালী নদীর ওপর নির্মিত ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার মাহমুদপুর ও নাংলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

Advertisement

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। যে জায়গায় সেতুটি নির্মাণ করার কথা ছিল, সে জায়গায় না করে ফসলি জমির মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ভোগান্তি বেড়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পুঠিয়াপাড়া ও বন্ধরৌহা গ্রামের মাঝখানে বয়ে চলা কাটাখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয় ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু। এক বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের আগে এলাকাবাসী বলেছিলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য জায়গা দেবেন। কিন্তু অধিগ্রহণের টাকা বুঝে না পাওয়ায় তারা জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে সড়ক নির্মাণ বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা যায়, চারপাশে ফসলি জমি। মাঝখানে বয়ে চলেছে কাটাখালী নদী। ছোট এ নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু। সেতুর দুই পাশে ওঠার মতো নেই কোনো ব্যবস্থা। সেতু থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার পূর্বে পাকা ও পশ্চিমে কাঁচা সড়ক। সেতু থাকা সত্ত্বেও স্থানীয়রা বর্ষা মৌসুমে নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটে পারাপার হন। পারাপার হতে গিয়ে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

Advertisement

পুঠিয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, সেতুর কাজ আরও এক বছর আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু উভয় পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় আমরা দুর্ভোগে পড়েছি। সেতুটি এখন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুসলিমা আক্তার বলেন, সেতুটি চালু হলে পুঠিয়ারপাড়া, খাসিমারা, নালছিয়া ও মাহমুদপুর গ্রামের প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীরা সহজে যেতে পারবেন। উপজেলা সদরের সঙ্গে দূরত্ব কমে আসবে।

আমিনুল ইসলাম, রাবেয়া খাতুন, নাজমুল হাসানসহ আরও কয়েকজন স্থানীয় বলেন, সেতুটি নির্মাণে পরিকল্পনার অভাব ছিল। কেন এবং কী কারণে এ সেতুটি করা হয়েছে তারা জানেন না। সেতুটি নির্মাণের আগে রাস্তা নির্মাণ করা জরুরি ছিল।

এ বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে কিছুটা জটিলতা ছিল। বর্তমানে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে।

Advertisement

এসআর/এএসএম