দেশে চলমান অর্থনীতি সংকটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, নানামুখী চাপে থাকা অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের উন্নয়নে এ মুহূর্তে সঠিক নির্দেশনা ও দক্ষ নেতৃত্ব প্রয়োজন।
Advertisement
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘সংকটে অর্থনীতি: কর্মপরিকল্পনা কী হতে পারে?’ শীর্ষক সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক সংকটকালে নেতৃত্বের অভাব দেখা দিয়েছে। পুরো সময়ে এ নেতৃত্বে অভাব দেখা গেছে। অর্থমন্ত্রী একজন আছে, আমরা তাকে বেশির ভাগ সময় দেখতে পাই না। গুরুত্বপূর্ণ সংকটের সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার সময় এ ধরনের নেতৃত্বের অভাব খুবই দুঃখজনক।
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অর্থমন্ত্রীকে আমরা দেখছি না। অর্থনৈতিক যুদ্ধ অবস্থার মধ্যে আমরা আছি, উনি মিসিং, তাই উনার মন্ত্রণালয় মিসিং। মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্তি, উন্মুক্ততা, অংশীদারিত্ব নেই। একচ্ছত্র নীতিতে চলছে। এটা অনেক বড় সমস্যা। এভাবে চললে আমরা বিপদে পড়বো। মওলানা ভাসানীকে নিয়ে অপবাদ আছে, রাজনৈতিক ক্রাইসিস হলেও উনি নাকি হাসপাতালে চলে যেতেন। আমাদের অর্থমন্ত্রীও ওটা ফলো করছেন কি না আমি জানি না।
Advertisement
দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রেমিট্যান্স বাড়ানো পদক্ষেপ নেওয়া ও বিদেশে যারা বাড়ি করেছে তাদের কাছ ট্যাক্স নেওয়ার মাধ্যমে বৈধ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
শ্রমিক নেতা কামরুল আনাম বলেন, এই আয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রতিনিধিকে আমরা দেখছি না। তাদের মতামত পেলে আরও ভালো হতো। দেশে কারা টাকা পাচার করছে সেটার গবেষণা করা দরকার। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আমি জানি আপনারা একমত পোষণ করবেন না। এখন যারা কোটি টাকা পাচার করছে পিকে হাওলাদারের মতো, তাদের ধরে এনে গুলি করে মেরে দৃষ্টান্ত করতে হবে। কৃষিককে ঋণের জন্য আপনি যদি জেল দিতে পারেন, তাহলে যারা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, যারা বিদেশে বাড়ি বানাচ্ছে তাদের এনে দুই-চারজনকে গুলি করে দেন। তাহলে যদি এই প্রবণতা কমে। না হলে এই প্রবণতা কমবে না।
এসএম/আরএডি/জেআইএম
Advertisement