করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের বাণিজ্যিক শহর সাংহাইয়ে আবারও সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে স্কুল বন্ধ হতে যাচ্ছে। নতুন করে করোনা ভাইরাসের সংক্রম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত বেইজিংয়ের।
Advertisement
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশটির শিক্ষাবিভাগের কর্তৃপক্ষ ইউচ্যাটে পোস্ট করে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থী তবে যারা পরের গ্রীষ্মে স্নাতক হবে তারা ব্যতীত অবশ্যই আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়িতে পড়তে হবে। ওই ঘোষণায় আরও বলা হয়, কিন্ডারগার্টেনও বন্ধ থাকবে।
আদেশটি এমন কর্মকর্তার কাছ থেকে সতর্কতার সঙ্গে এলো যিনি সম্প্রতি গত তিন বছরে ধরে চলা বিধিনিষেধ শিথিল করার নিদ্ধান্তেও জড়িত ছিলেন। বেইজিং-এ সংক্রমণ বেড়েছে এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সাংহাইতে আরও বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরইমধ্যে সেখানে বেশ কিছু মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিড জিরো নীতি বদলানোর পাশাপাশি, চীনে কোভিডকে এখন কর্মকর্তা ও উপদেষ্টারা ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে তুলনা করছেন কারণ এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
Advertisement
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান এপিডেমিওলজিস্ট উ জুনিউরের মতে, দেশটি এখন থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনটি ধাপে সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। বেইজিং ইয়ুথ ডেইলির প্রতিবেদনে উ বলেছেন, চীনের জনসংখ্যার ১০ থেকে ৩০ শতাংশ সংক্রামিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে প্রধানত শহরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়বে। আসন্ন চন্দ্র নববর্ষের বিরতির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী অভিবাসন হিসেবে অভিহিত করা চীনে ছুটির জন্য কর্মীরা বাড়িতে যাবেন এবং তারপর ছড়িয়ে পড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে তৃতীয় ধাপে শুরু হবে করোনা যখন লোকজন সারাদেশে কারখানা এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসে।
বর্তমান প্রাদুর্ভাবের স্কেল পরিমাপ করা কঠিন হয়ে উঠছে।, কেননা, চীন তার বিশাল পিসিআর পরীক্ষা স্থগিত করেছে এবং উপসর্গবিহীন করোনা রোগী গণনা করা হচ্ছে না। বেইজিংয়ে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াসহ কোভিডের মৃত্যুর রিপোর্টে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও চীনে, ৪ ডিসেম্বর থেকে কোভিড মৃত্যুর একটিও রেকর্ড রাখেনি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র: ব্লুমবার্গ
Advertisement
এসএনআর/এএসএম