জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফাতেমা তুজ জোহরা। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক এ খেলোয়াড় একজন পরীক্ষিত সিএ এবং আইসিসি লেভেল-২ এর কোচ। ২০২১ সাল থেকে তিনি মালদ্বীপ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Advertisement
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ফাতেমা তুজ জোহরার সঙ্গে জাগো নিউজের একান্ত আলাপ হয়। জানালেন বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপে নারীদের খেলায় মনোনিবেশের কথা।
তিনি বলেন, আমরা যখন খেলা শুরু করি তখন অনেক ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছিল। বর্তমানে অন্য খেলার চেয়ে ফুটবল এবং ক্রিকেটে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান অনেক ভালো।
গৌরবময় পথচরা নিয়ে ফাতেমা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে কোচ হওয়ার জন্য বিকেএসপিতে ভাইভা দেই। সেখানে আমার চাকরি হলে মেয়েদের টিমটাকে দেখাশোনা করি। সেখানকার খেলোয়াড়ের মধ্যে প্রতিবছর তিন-চারজন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পেত। পাশাপাশি ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নারী ক্রিকেট ক্লাবে কোচিং করাই। এরপর গত বছর মালদ্বীপ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হই।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে বিশেষভাবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটকে প্রমোট করা। নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে আমার অবদান কীভাবে রাখা যায় সেটাই হচ্ছে লক্ষ্য। মেয়েদেরকে আরও কীভাবে মোটিভেট করে খেলাধুলায় আনা যায় আমাদের মতো সাবেক খেলোয়াড়দের এটাই মূল লক্ষ্য।
বর্তমানে ফুটবল এবং ক্রিকেটের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে মালদ্বীপের এ কোচ বলেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়েও খেলোয়াড়রা এখন অনেক স্বাবলম্বী। তাই মেয়েদের অনুরোধ করবো তোমরা খেলাধুলায় আসো, ক্রিকেটে আসো, ফুটবলে আসো, হকি চালু হয়েছে এগুলোতে আসো। এটা পেশা হিসেবে নিতে পারবে।
দুদেশের ক্রিকেটের বিষয়ে ফতেমা বলেন, মালদ্বীপ নারী ক্রিকেট এবং বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে অনেক পার্থক্য। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের অবস্থান এখন খুবই ভালো। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই আমাদের অবস্থান মালদ্বীপের চেয়ে অনেক ওপরে। মালদ্বীপের মেয়েদের ক্রিকেটের ইতিহাসটা খুব বেশি পুরোনো নয়। তারা আমাকে পেয়ে অনেক খুশি। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জ্ঞানটা তাদের মধ্যে দিতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো একটা জায়গায় যেতে পারবে। এসজে/এএসএম
Advertisement