আন্তর্জাতিক

টোকিওতে নতুন বাড়ি বানাতে সৌর প্যানেল বাধ্যতামূলক

জাপানের রাজধানী টোকিওতে সব ধরনের নতুন বাড়ি বানাতে সৌর প্যানেল রাখা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তবে এখনই নয়, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে চালু হবে এই নিয়ম। কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত আইন পাস করেছে স্থানীয় পরিষদ। খবর রয়টার্সের।

Advertisement

জাপানের যেকোনো নগর কর্তৃপক্ষের জন্য নতুন বাড়িতে সৌর প্যানেল রাখার বাধ্যবাধকতা এটাই প্রথম। নতুন আইনের ফলে, দুই হাজার বর্গমিটার (২১ হাজার ৫০০ বর্গফুট) পর্যন্ত নতুন বাড়িগুলোতে সৌর প্যানেলসহ নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স রাখতে হবে নির্মাতাদের৷

টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকে গত সপ্তাহে বলেছেন, এই মুহূর্তে শহরটির মাত্র চার শতাংশ বাড়িতে সৌর প্যানেল বসানোর জায়গা রয়েছে৷ টোকিও মেট্রোপলিটন ২০০০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী জাপান। দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০১১ সালে ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর কয়লানির্ভর তাপবিদ্যুতের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি।

Advertisement

কোয়েকের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল টমিন ফার্স্ট নো কাইয়ের সদস্য রিসাকো নারিকিও বলেছেন, বিদ্যমান বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে আমরা জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হয়েছি। এখন আর নষ্ট করার মতো সময় নেই।

নতুন বাড়িতে সৌ প্যানেল বাধ্যতামূলক করার আইনের পক্ষে টোকিওর গভর্নর বলেছেন, প্রতিটি পরিবারের সঞ্চয় প্রচেষ্টায় একটি বিশাল (বিদ্যুৎ) শক্তি তৈরি হবে।

জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৯ অর্থবছরে টোকিওর মোট বিদ্যুৎ খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ছিল গৃহস্থালী খাতে। অফিস ও পরিবহন খাতে জ্বালানি-সাশ্রয় প্রচেষ্টায় পিছিয়ে পড়া শহরটিতে ২০০০ সালের পর থেকে বিদ্যুৎ খরচের হার বেড়েছে ২ দশমিক ২ শতাংশ।

এ সমস্যা মোকাবিলায় টোকিও মেট্রোপলিটন কর্তৃপক্ষ দুই হাজার বর্গমিটার ফ্লোর স্পেসসহ ঘর ও কনডোমিনিয়ামের জন্য সৌর প্যানেল বাধ্যতামূলক করছে। এ নিয়ম সেসব হাউজিং কোম্পানিগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা বার্ষিক ২০ হাজার বর্গমিটার বা তার বেশি ফ্লোর স্পেসসহ বাড়ি সরবরাহ করে। টোকিওতে এ ধরনের প্রায় ৫০টি হাউজিং কোম্পানি রয়েছে।

Advertisement

আবাসিক ইউনিটগুলোতে সৌর প্যানেল থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট স্তরে পৌঁছালে সূর্যালোকের অবস্থা বিবেচনায় প্রতিটি ভবনে কতগুলো সৌর প্যানেল বসাতে হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পাবে হাউজিং কোম্পানিগুলো।

কেএএ/