সাগর কন্যা কুয়াকাটা। যেখানে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন রূপ দেখতে বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে দেশ-বিদেশের নানা বয়সের পর্যটকের আগমন ঘটে।
Advertisement
মহান বিজয় দিবস ও সরকারি ছুটিসহ দুই দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে নানা বয়সের হাজার হাজার পর্যটকের।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সৈকত ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন পয়েন্টে আনন্দ উল্লাসে মেতেছেন নানা বয়সের মানুষ। শিশুরা বালিয়াড়িতে গাঁ মিশিয়ে আনন্দ করছে, মধ্যে বয়সীরা গভীর সমুদ্রে গোসলে মেতেছে আর বৃদ্ধরা ছাতার নিচে বেঞ্চে বসে উপভোগ করছেন বিশাল সমুদ্রের জলরাশি ও গর্জন।
গত বেশ কয়েকদিন পর্যটক কম হাওয়ায় কিছুটা অলস সময় পার করলেও এখন বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে হোটেল মোটেলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের।
Advertisement
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শান্তা ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, দুই দিনের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটা এসেছি। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে এইবার ট্যুর। ওদের লাফালাফি, দুষ্টুমি, বেশ এনজয় করছে।
রত্না নামের অপর এক পর্যটক জাগো নিউজকে জানান, ইটপাটথরের শহরে আমরা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই একটু স্বস্তি দিতে সমুদ্রের পাড়ে এসেছি। বিজয় দিবসের উল্লাসটা এখানে উপভোগ করছি।
এদিকে, দুই দিনের ছুটি উপলক্ষে আগে থেকেই বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার বেশীরভাগ হোটেল-মোটেলের রুম। পর্যটক বেশি হওয়ায় করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে পর্যটকদের আগমন কম হলেও বিজয় দিবসের বন্ধ থেকে আগমনটা বেড়েছে। ২৩ ডিসেম্বরসহ বেশ কয়েকটি ছুটিতে অসংখ্য বুকিং রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়।
Advertisement
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জাগো নিউজকে জানান, পর্যটকের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও মাইকিং করে পর্যটকদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এএইচ/জেআইএম