বর্ষীয়ান টিভি অভিনেত্রী বীণা কাপুরকে খুন করেছেন তার ছেলে। গত শনিবার এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল ভারতের প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে। দ্রুত এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও শোকাহত হন। কিন্তু বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) থানায় গিয়ে অভিনেত্রী বীণা কাপুর বললেন, ‘আমি বেঁচে আছি’। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’র খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
শুধু তা-ই নয় বীণা কাপুর নিজেই তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বাই পুলিশের কাছে হাজির হন। দিন্ডোসী থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার অভিযোগ আনেন।
বীণা কাপুর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সমবেদনা জানিয়ে তার ফোনে বহু মেসেজ, ফোন আসা শুরু হয়েছে। যাতে তিনি একপ্রকার বিরক্ত। কাজে মন দিতে পারছেন না। এমনকি অনেক কাজ তার হাত থেকে চলে যেতে বসেছে। অভিনেত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি জানাতে চাই, আমার ছেলে আমায় খুন করেনি, আমি দিব্যি বেঁচে আছি।’
এই ঘটনায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সেই বীণা কাপুরের ছেলে অভিষেক কাপুর বলেন, ‘এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আমার কাছেও অনেক ফোন আসছে। সবাই বলছেন আমি নাকি আমার মাকে মেরে ফেলেছি। এমন ভয়ানক কথা আমি তো ভাবতেও পারি না। আমি মাকে ভীষণ ভালোবাসি, আমার মাও দিব্যি বেঁচে আছেন।’
Advertisement
#WATCH | "If I don't file a complaint now, it will continue to happen with others. It is mental harassment...". Actress Veena Kapoor reaches the Police station to file FIR against those who spread rumours of her murder by her own son. pic.twitter.com/AcBeSo1rwM
— ANI (@ANI) December 15, 2022এবার প্রশ্ন অভিনেত্রী বীণা কাপুর যদি বেঁচে থাকেন, তাহলে ঠিক কী ঘটেছে? মৃত্যুর খবর কীভাবে ছড়ালো? পুলিশই বা কাকে গ্রেফতার র করলো?
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এখন বলছে, বীণা কাপুর খুন হয়েছেন ঠিকই, তবে তিনি অভিনেত্রী বীণা কাপুর নন। ওই বীণা কাপুর জুহুর বাসিন্দা। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন সচীন কাপুর, তিনি জুহুর খুন হওয়া বীণা কাপুরের ছেলেই! মূলত একই নাম হওয়ায় সোশাল মিডিয়ার বদৌলতে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। নাম বিভ্রাটের কারণে সবাই ভেবে নেয়, এটি অভিনেত্রী বীণা কাপুর! ফলে মৃত্যু সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement