চুক্তির একদিন পরেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে দেশটির সঙ্গে যে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার চুক্তি হয়েছে সেটি নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগের তথ্য সঠিক নয়। শুক্রবার মালয়েশিয়ার জাতীয় দৈনিক দ্য স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুত্রজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে রিচার্ড রায়ট বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভবিষ্যতে কাজের জন্য বাংলাদেশের ১৫ লাখ শ্রমিক নিবন্ধন করেছে; তবে এই (১৫ লাখ) শ্রমিক মালয়েশিয়ায় আসবেন, এ তথ্য সত্য নয়। তিনি বলেন, আসল পরিসংখ্যান হলো; মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে কাজের জন্য বাংলাদেশের ১৫ লাখ শ্রমিক সেদেশের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধন করেছে। রিচার্ড রায়ট আরো বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ ১৩৯টি দেশে কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এখন এই তথ্যের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় ব্যাপক পরিমাণ শ্রমিক বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসছে বলে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা কেটে যাবে। গত বছরের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫ জন বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ২ লাখ ৮২ হাজার ২৮৭ জন শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ পান। দেশটির এই মন্ত্রী অবশ্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের শ্রমিক নিয়োগের ব্যাপারে যে চুক্তি হয়েছে সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। তিনি বলেন, এর আগে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ধরনের চুক্তি হয়েছে ঠিক একই ধরনের চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে। এদিকে, ট্রেইট টাইমসের এক প্রতিবেদনে শ্রমিক নেয়ার কার্যক্রম স্থগিত করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশীয় শ্রমিকদের উপেক্ষা করে বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর এ কারণেই বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া সরকার।এসআইএস/এমএস
Advertisement