তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে একসঙ্গে ১৮টি বোমারু বিমান পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে চীনের বিরুদ্ধে। তাইওয়ানের দাবি, চীনা এসব যুদ্ধবিমান পারমাণবিক বোমা হামলা চালাতে সক্ষম। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) চীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনে তাইপেই।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চীন অন্তত ২১টি যুদ্ধবিমান দ্বীপ ভূখণ্ডটির দক্ষিণ-পশ্চিম এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজে) প্রবেশ করে। এসব বিমানের মধ্যে পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন ১৮টি এইচ-৬ বোমারু বিমানও ছিল।
তাইপেই বলছে, প্রায় প্রতিদিনই চীনের বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করে। তবে ডেটাবেজ অনুসারে, একসঙ্গে এতগুলো এইচ-৬ বোমারু বিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা এবারই প্রথম।
সাম্প্রতিক মাসগুলো ছাড়া গত অক্টোবরে তাইওয়ানের আকাশসীমায় তখনকার সর্বোচ্চ ১৬টি এইচ-৬ বিমান পাঠিয়েছিল চীন। কিন্তু গত মাসে চীন তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে ২১টি বোমারু বিমান পাঠিয়েছিল। অথচ, চলতি মাসে এরই মধ্যে এ সংখ্যা ২৩টিতে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি বেশ স্পষ্ট। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান সবসময় চীনের আক্রমণের শিকার হতে পারে- এমন হুমকির মধ্যে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ান থেকে পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চীন।
অন্যদিকে, স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে চীন বরাবরই তাওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। এমনকি, একদিন এ দ্বীপটি দখল করা হবে এমন হুমকিও দিয়ে রেখেছে চীন।
২০১৬ সালে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাই ইং-ওয়েনের নির্বাচিত হন, যিনি বরাবরই দ্বীপটিকে চীনের অংশ বলে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপটির চারপাশে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ায় বেইজিং।
গত সপ্তাহে তাইওয়ানের খাদ্য, পানীয়, অ্যালকোহল ও মৎস্যজাত পণ্যের ওপর নতুন করে আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জিনপিং প্রশাসন।
Advertisement
সূত্র: সিএনএন
এসএএইচ