যাত্রীদের উঠানামা ও অপেক্ষার জন্য বাস স্টপেজ সংলগ্ন স্থানেই কল্যাণপুরের যাত্রী ছাউনিটি। কিন্তু প্রধান সড়কের পাশেই এ যাত্রী ছাউনির আজ বেহাল দশা। বসারতো কোনো জায়গা নেই উল্টো দখল নিয়েছেন চা দোকানি। একই স্থানে হচ্ছে জুতা রংয়ের কাজও।অনেকে জানেনই না কল্যাণুপরে যাত্রী ছাউনি আছে। সরেজমিনে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে দেখা গেছে এ চিত্র।কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনেই নির্মিত এ যাত্রী ছাউনিতে গত বুধবার বিকেলে বসে থাকতে কিংবা অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়নি কোনো যাত্রীকে।যাত্রী সাধারণের অভিযোগ, এখানে ছাউনি আছে কিন্তু তা যাত্রীদের জন্য নয়। ভাড়ায় চলে। চায়ের দোকান, মুচির দোকান বসেছে। আর সন্ধ্যা হলে এখানে বখাটেদের আড্ডা বসে। তাই যাত্রী সাধারণ এখানে দাঁড়ানোর সুযোগও নিতে পারেন না।মশিউর রহমান নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন অফিস শেষে এখানে এসেই বাসে উঠতে হয়। কিন্তু যাত্রী ছাউনির যে বেহাল দশা! কিছু করার নেই ছাউনির বাইরেই দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়।কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ছাউনি থেকে কি হবে, বসার জায়গা তো থাকতে হবে। বসার কোনো সিমেন্টের বেঞ্চইতো নেই। তার উপর আবার বসেছে চা দোকান। যাত্রীর চেয়ে অন্য মানুষের আনাগোনা বেশি। তাই ওখানে বসাই হয় না।সরজমিনে দেখা যায়, কল্যাণপুর যাত্রী ছাউনি দখলে নিয়েছে জহির স্টোর। দোকানের মালিক জহির বলছেন, আমি ছোট্ট দোকানদার। এই দোকানের আয়েই আমার পরিবার চলে। এমনিতেই বসিনি। টাকা দিয়েই দোকান নিয়েছেন বলে দাবি তার। টাকা কাকে দিতে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ ও স্থানীয় ছেলেদেরকে দিয়ে ম্যানেজ করে দোকান নিছি।যাত্রী ছাউনিটির পাশে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নিরাপত্তা কর্মী জাগো নিউজকে জানান, সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন পুলিশের সহযোগিতায় কল্যাণপুর থেকে শুরু করে শ্যামলী পর্যন্ত রাস্তার ফুটপাতের উপর বসা দোকানপাট ও যাত্রী ছাউনি দখলবাজদের উচ্ছেদ করে। কিন্তু মাস না পেরুতেই প্রায় সবই আবার বসে পড়েছে।রাজনৈতিক চাপে পুলিশ কিছু করতে পারে না। স্থানীয় সরকারদলীয় লোকজন ভাড়ায় এসব দোকান চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।জেইউ/এমজেড/পিআর
Advertisement