দেশজুড়ে

ভর্তি তালিকায় এক লটারিতে তিনবার জয়ী!

জন্মনিবন্ধন জালিয়াতির কারণে বগুড়ায় ভর্তির মেধা তালিকায় এক নাম তিন বার এসেছে। বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লটারির পর প্রকাশিত তালিকায় এ কাণ্ড ধরা পড়ে।

Advertisement

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে অনলাইনে ও স্কুলবোর্ডে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ সিরিয়ালে ছাত্রী শরমিলা আক্তারের নাম দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরমিলার নাম ও ছবির সঙ্গে তিনটি জন্মনিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার আবেদনের সময় করা ইউজার আইডিতে ভিন্নতা আছে। মেধা তালিকার প্রথম নম্বরে ‘GVQFIEOIBV’, ২য় নম্বরে ‘GVQZTEBDED’ ও ষষ্ঠ নম্বরে ‘GVYEHBLBCP’ ইউজার আইডি ব্যবহার করেছে আবেদনকারী৷ সবগুলোতে বাবার নাম শফিকুল ইসলাম, মায়ের নাম নাছিমা আকতার এবং মোবাইল নম্বর একটি ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া ক্লাস এবং শিফটও দিবা শাখায় হুবহু মিলে গেছে। এ ঘটনায় অনলাইনে লটারি কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।

স্কুল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লটারিতে ব্যবহার করা সফটওয়্যারের দুর্বলতার কারণে একজনের নাম একাধিকবার আসার সুযোগ হয়েছে। তবে একজন একবারই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

Advertisement

সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এক ছাত্রী তিনবার লটারিতে সুযোগ পাওয়ায় আমরাও বিব্রত। তার মেধাতালিকার ইউজার আইডি তিনবারই ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত তার অভিভাবক কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে সফটওয়্যারে দুর্বলতা থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে এ কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারবো না। তবে ভর্তির ক্ষেত্রে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর কোনো ত্রুটি থাকলে আইন অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ বাতিল হবে। পাশাপাশি ওয়েটিং লিস্ট থেকে অন্য শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাবে।

এসজে/জেআইএম

Advertisement