বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক দপ্তরে আঞ্চলিক পরিচালক পদে প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)। তবে এই পদে নেপালেরও প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা রয়েছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
ডব্লিউএইচও’র ছয়টি অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ এই অঞ্চলে মানুষের স্বাস্থ্যজনিত নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলায় কাজ করে সংস্থাটির আঞ্চলিক দপ্তর। এই অঞ্চলে প্রতি পাঁচ বছর পর পর নতুন করে সদস্যদের ভোটে একজন প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। ডব্লিউএইচও সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া এই পদের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। সদস্য দেশগুলোর যেকোনো দেশ এই পদে প্রার্থী দিতে পারে। এছাড়া এই পদ পেতে ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি সদস্য দেশের ভোটে বিজয়ী হতে হবে।
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১টি সদস্য দেশ হলো বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুর।
বর্তমানে এই অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন ভারতের নাগরিক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। ২০১৮ সালে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ডব্লিউএইচও’র নির্বাহী বোর্ড ১৪৪তম অধিবেশনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, সায়মা ওয়াজেদ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও’র অ্যাসেম্বলিতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে ভবিষ্যতে খালি হতে যাওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক পদে প্রার্থিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
এখনো প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে এই নির্বাচন হবে, তখন তিনি প্রার্থী দেবেন এবং তিনি এজন্য একজন উপযুক্ত প্রার্থী। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী এজন্য যে, তিনি এই পদের জন্য যথেষ্ট যোগ্য এবং ওনার গ্রহণযোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাও আছে। এই অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা আছে, তার মেয়ে হিসেবে যোগ্যতা বলে সায়মা ওয়াজেদেরও যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ডব্লিউএইচও সূত্রে জানা যায়, এখনো এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু হয়নি। ২০২৩ সালে প্রার্থী দেওয়া এবং নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে। এখনো এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সায়মা ওয়াজেদ একজন অটিজম অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্ততত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল মনস্ততত্ত্বে তিনি বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০০৮ সাল থেকে তিনি শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০০৪ সালে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে’ ভূষিত হন। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন।
এএএম/ইএ/জিকেএস
Advertisement