জাতীয়

উপনির্বাচনের জন্য ৯০ দিন অপেক্ষা করবে না ইসি

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করার কারণে শূন্য হওয়া আসনগুলোতে নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ৯০ দিন অপেক্ষা করবে না বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. আলমগীর।

Advertisement

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করা আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে বলে জানিয়েছে। পরবর্তী প্রসিডিউর হচ্ছে আমরা সভায় বসবো। বৈঠকে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে কবে নির্বাচন হবে, তার সিডিউল ঘোষণা করা হবে।

আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাক্সিমাম (সর্বোচ্চ) ৯০ দিন। তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেবো ইনশাআল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার আজ ঢাকার বাইরে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) থাকবেন। পড়শু হয়তো আসবেন। এরপর বৃহস্পতিবার হয়তো আমরা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবো। মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয় সেটি হয়তো দিয়ে দেবো। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করবো না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসাবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেবো।

Advertisement

যেহেতু সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাই এই নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন অপেক্ষা করবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নির্বাচনই ৯০ দিনের মধ্যে করতে হয়। কিন্তু মিনিমাম একটা সময় দিতে হয়। কারণ নমিনেশন জমা দেওয়ার সময় আছে, বাছাইয়ের সময় থাকে, প্রত্যাহারের সময় থাকে, প্রচারণার সময় থাকে। এজন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় দিতে হয়। এই সময়টা দিয়ে তারিখ ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন: স্পিকারকে পদত্যাগপত্র দিলেন বিএনপির এমপিরা

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা হয়তো অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবো। সেখানে হয়তো সিদ্ধান্ত হতে পারে বা নথির মাধ্যমে ফাইল পুটআপ করা হতে পারে। তাহলে আর পরবর্তী মিটিংয়ের প্রয়োজন হবে না।

জাতীয় নির্বাচনের আগেই সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, আমরা কোনো প্রেশার অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখবো, গ্যালারি প্রস্তুত রাখবো। সবকিছু প্রস্তুত রাখবো প্লেয়াররা খেলতে আসবেন।

Advertisement

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা মাঠ তৈরি করবো, গ্যালারি তৈরি করবো।

আরও পড়ুন: জাপার এমপিদেরও পদত্যাগের আহ্বান বিএনপির

খেলোয়াড়রা আসুক বা না আসুক আপনারা শুধু মাঠ প্রস্তুত রাখবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই আসবেন। সব খেলোয়াড় নাও আসতে পারেন। যাদের প্রস্তুতি থাকবে না তারা তো নাও আসতে পারেন। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। সবগুলো দলই যে নির্বাচন করবে সেটি তো আর বলা যায় না।

সবাই নির্বাচনে না এলে মনে অসন্তুষ্টি থাকবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখবো যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বা সক্রিয় রাজনৈতিক দল যারা আছে, তারা আসলেই বলবো যে একটু সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।

এমওএস/ইএ/এএসএম