করোনা মহামারির ‘শেষ প্রান্তে’ চলতি বছর থাইল্যান্ডের পর্যটনকেন্দ্রিক অর্থনীতি আবারও চাঙা। এ বছর প্রায় ১ কোটি বিদেশি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি থাইল্যান্ড।
Advertisement
পর্যটনখাত ঘুরে দাঁড়ানো এবং টার্গেট পূরণ হওয়ায় দেশটির সরকার দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির সাতটি এয়ারপোর্ট ও দুুটি সীমান্ত চেকপয়েন্টে বছর শেষে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন। গত শনিবারও ব্যাংককের সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণ করলে যাত্রীদের প্রথাগতভাবে নেচে গেয়ে অর্ভ্যত্থনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচা পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৃষ্টির পর আকাশ সবসময় পরিষ্কার থাকে। আজ আকাশ খোলা এবং আমাদের সীমানাও। আমরা এই সাফল্যে থামবো না। আমরা আরও আত্মবিশ্বাস তৈরি করবো যে থাইল্যান্ড এখনও একটি বিশ্বব্যাপী ভ্রমণকারীদের প্রিয় গন্তব্য যাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমরা।’
থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০২১ সালে যেখানে ১ কোটির অর্ধেকও বিদেশি পর্যটক পাওয়া যায়নি সেখানে এটি একটি বিরাট সাফল্য। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এই খাতে আরও ৫০০ বিলিয়নের বেশি রাজস্ব যোগ হবে বলে আশবাদী তারা।
Advertisement
থাইল্যান্ডের অর্থনীতির একটি মূল চালিকা শক্তি পর্যটন শিল্প। এই খাত থেকে যোগ হচ্ছে মোট অর্থনীতির ১২ শতাংশ।
আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে বিদেশি পর্যটক সংখ্যা পৌঁছাবে ২ কোটিতে এবং রাজস্ব খাতে যোগ হবে দেড় ট্রিলিয়ন অর্থ। থাইল্যান্ডে ২০১৯ সালে ৪ কোটি পর্যটক ভ্রমণে যান। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় দেশটি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণসহ নানা ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেয়। ফলে কমতে থাকে পর্যটন সংখ্যা।
চীন কত শিগগির তার কঠোর কোভিড জিরো নীতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া সীমানা পুনরায় চালু করবে তার উপরও নির্ভর করছে দেশটির পর্যটন খাত পুনরুদ্ধার কত দ্রুত হতে পারে। কেননা, চীন একসময় থাইল্যান্ডের পর্যটনের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির পর্যটকের সংখ্যা পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
Advertisement
সূত্র: ব্লুমবার্গ
এসএনআর/জেআইএম