আইন-আদালত

এজলাসের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে আদালত অবমাননা

এজলাস কক্ষের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

Advertisement

রোববার (১১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল আপিল বিভাগের এক নম্বর কক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোশিয়েশন) সভাপতি এজলাসের ডায়াসে দাঁড়িয়ে পর্যায়ক্রমে নবনিযুক্ত বিচারপতিদের উচ্চ আদালতের কর্মময় জীবনী তুলে ধরছিলেন।

এরই মধ্যে হঠাৎ অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন এবং বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি তাদের জানান, পেছন থেকে ছবি তোলার কথা।

Advertisement

এরপর বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির পেছনে আইনজীবীদের কাছে গিয়ে বলেন, যে ছবি তুলেছেন এখনই ডিলিট করুন।

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এজলাস কক্ষের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) অভিযোগ আনা হবে। আদালতে এসব ছবি তোলার বিষয়ে আমরা উপস্থাপন করবো। এরপর যথারীতি আবারো বিচারকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও উচ্চ আদালত হাইকোর্ট বিভাগসহ সব আদালতের এজলাস কক্ষের ছবি ওঠানো ও প্রকাশ করা যায় না। এ বিষয়ে আইনগত নিয়ম এবং বাধা রয়েছে।

আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।

Advertisement

তারা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি ছিলেন। নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো নয়জনে।

এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম